অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে করোনায় নতুন করে (শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত) ১৪১ জনের করোনা শনাক্ত এবং ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ হাজার ১৪ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫৩ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫৬ জন, হোসেনপুরে ১৪ জন, তাড়াইলে ১ জন, পাকুন্দিয়ায় ৭ জন, কটিয়াদীতে ৬ জন, কুলিয়ারচরে ২ জন, ভৈরবে ৩১ জন, নিকলীতে ৭ জন, বাজিতপুরে ১৪ জন, ইটনায় ১ জন ও অষ্টগ্রামে ২ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩০ জুলাই (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ২৯ জুলাই বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হোসেনপুর, তাড়াইল, পাকুন্দিয়া, কুলিয়ারচর, ভৈরব, নিকলীত, বাজিতপুর, ইটনা ও অষ্ট্রগাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ২৫৭ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ৬৫ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৯ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। এ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ জন। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৭২ বছর বয়সী একজন পুরুষ, হোসেনপুরের ৯০ বছর বয়সী একজন পুরুষ বৃহস্পতিবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া ভৈরব উপজেলার ৭৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ গত মঙ্গলবার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১৫৩ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৬ হাজার ৫৩৯ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৩২২জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯১২ জন, হোসেনপুরে ১৭২ জন, করিমগঞ্জে ৪৪ জন, তাড়াইলে ৩৫ জন, পাকুন্দিয়ায় ২২৬ জন, কটিয়াদীতে ৩২৪ জন, কুলিয়ারচরে ৪৮ জন, ভৈরবে ২৮৮ জন, নিকলীতে ৪১ জন, বাজিতপুরে ১৪২ জন, ইটনায় ২৭ জন, মিঠামইনে ২৯ জন ও অষ্টগ্রামে ৩৪ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ২ হাজার ২৩৫ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৮৭ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৮ হাজার ৫০৮ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫৬১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কাউকে টিকা দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৩৯ হাজার ১৯৭ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৪৪ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৯ হাজার ৩০৭ জন।