করিমগঞ্জ (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ব্যাটারি পুড়ানোর কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।
আজ শনিবার দুপুরে গুণধর ইউনিয়ন স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে খয়রত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, প্রায় ৭ মাস আগে গুণধর ইউনয়নের খয়রত এলাকায় ব্যাটারি পুড়ানোর কারখানা স্থাপন করেন জনৈক মুসা মিয়া। দিনের বেলায় কারখানাটি বন্ধ রাখলেও রাতের বেলায় পুড়ানো হয় ব্যাটারি। এ থেকে নির্গত রাসায়নিক পদার্থ মাটি ও পানিতে মিশছে। পাশাপাশি ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পরিবেশে। গত দুই মাসে বিষাক্ত পানি পানে এলাকার অন্তত ১০টি গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তারা। কারখানার পাশে একটি মাদ্রাসা রয়েছে। কারখানাটির ধোয়ায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এলাকাবাসী আরও জানান, প্রায় দেড় মাস আগে উপজেলা প্রশাসন কারখানাটিকে জরিমানা ও সিলগালা করলেও পরে আবারো চালু করে ব্যাটারি পড়ানোর কাজ শুরু করে। তারা অবিলম্বে কারখানাটি বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, প্রশাসন জরুরীভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে এলাকাবাসী নিজেরাই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক সাইফুল ইসলাম জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ, গুণধর ইউনিয়ন স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের আহ্বায়ক হেদায়েত উল্লাহ, সদস্য সচিব আবু সজিব, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজিরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান আরজু ফকির, সাবেক সভাপতি ইকরামুল হক, সদস্য সিরাজুল ইসলাম, এস. এম মাসুম, দেলোয়ার হোসেন, উপদেষ্টা ফেরদৌস মিয়া প্রমুখ।
এ ব্যাপারে কারখানাটির মালিক মুসা মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি কারখানাটি কিছুদিন যাবত বন্ধ রেখেছেন বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা বেগম সাথী জানান, দেড় মাস আগে এই কারখানাটি সিলগালা করে মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের জানামতে কারখানাটি বন্ধ রয়েছে। যদি আবারও চালু করে থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।