অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত) ১২৮ জনের করোনা শনাক্ত এবং ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ২৩০ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১৭৫ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫৩ জন, হোসেনপুরে ৯ জন, করিমগঞ্জে ৪ জন, তাড়াইলে ২ জন, পাকুন্দিয়ায় ১৮ জন, কটিয়াদীতে ২ জন, কুলিয়ারচরে ১৬ জন, ভৈরবে ৩ জন, নিকলীতে ৫ জন, বাজিতপুরে ৬ জন, মিঠামইনে ৩ জন ও অষ্টগ্রামে ৭ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ৩১ জুলাই ৩, ৫ ও ৬ আগস্ট (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ৫ আগস্ট বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ৭ জন, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৬ জন, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪০ জন, কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫৪ জন, কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ জন, নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন, মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ জনসহ মোট ২৩০ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ৩৮ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৩ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। এ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ জন। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৫০ বছর বয়সী একজন পুরুষ, ৪০ বছর বয়সী একজন নারী বাজিতপুর উপজেলার ৫৮ বছর বয়সী একজন পুরুষ ও ভৈরব উপজেলার ৫৬ বছর বয়সী একজন পুরুষ গত বৃহস্পতিবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১৭৫ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩১ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৭ হাজার ৪ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৫১ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯৩২ জন, হোসেনপুরে ২২৭ জন, করিমগঞ্জে ৬৬ জন, তাড়াইলে ৪৬ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৮১ জন, কটিয়াদীতে ৪৮৪ জন, কুলিয়ারচরে ৬৭ জন, ভৈরবে ৫৮১ জন, নিকলীতে ৪৯ জন, বাজিতপুরে ১৯৭ জন, ইটনায় ৩০ জন, মিঠামইনে ৩২ জন ও অষ্টগ্রামে ৫৯ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ২ হাজার ৯৮৮ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৬৩ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১৪ হাজার ২ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯৪৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কাউকে টিকা দেওয়া হয়নি। গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৬৩ হাজার ৬৮৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ১ হাজার ২৩৫ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬০ হাজার ৬০১ জন।