অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (রবিবার রাত ১০টা পর্যন্ত) ৭৮ জনের করোনা শনাক্ত এবং ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৪৩৯ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮২ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫২ জন, হোসেনপুরে ৩ জন, করিমগঞ্জে ৩ জন, কটিয়াদীতে ৩ জন, কুলিয়ারচরে ১ জন, ভৈরবে ৭ জন, বাজিতপুরে ৬ জন, মিঠামইনে ২ জন ও অষ্টগ্রামে ১ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান রবিবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ১, ২, ৩, ৬ ও ৭ আগস্ট (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ৭ আগস্ট বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ জন, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ৯ জন, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ জন, নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জন ও মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জনসহ মোট ৬২ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ৫ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৩ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। এ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ জন। ভৈরব উপজেলার ৬৫ ও ৫৫ বছর বয়সী দুজন নারী গত শনিবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১৮২ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৯ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৭ হাজার ১৪৭ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ১১০ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯২৩ জন, হোসেনপুরে ২৩০ জন, করিমগঞ্জে ৬৯ জন, তাড়াইলে ৪৬ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৫৪ জন, কটিয়াদীতে ৫৩২ জন, কুলিয়ারচরে ৭০ জন, ভৈরবে ৬৩০ জন, নিকলীতে ৫০ জন, বাজিতপুরে ১৮২ জন, ইটনায় ৩০ জন, মিঠামইনে ৩৪ জন ও অষ্টগ্রামে ৬০ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ৩ হাজার ৫১ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৫৯ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৬৬ হাজার ১৪৬ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৩ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৪৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্মের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার ১৪২ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪০৭ জনকে। একই সময়ে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৭৯৪ জনকে। গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৯৪৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ হাজার ৪২০ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬২ হাজার ৪৪ জন।