অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত) ১১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৪৩৯ জন। তবে এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬৫ জন, হোসেনপুরে ১৪ জন, করিমগঞ্জে ১ জন, তাড়াইলে ২ জন, পাকুন্দিয়ায় ১১ জন, কটিয়াদীতে ৮ জন, ভৈরবে ২ জন, বাজিতপুরে ৪ জন, ইটনায় ১ জন ও অষ্টগ্রামে ৪ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ২, ৩, ৪, ৭, ৮ ও ৯ আগস্ট (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ৮ আগস্ট বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১০৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ৪ জন, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৮ জন, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৯ জন, কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫৯, নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জনসহ মোট ১৬৬ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ২২ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩১ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৯ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১৮২ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫৫ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৭ হাজার ২০২ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ১৬৭ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯৬৮ জন, হোসেনপুরে ২৪৪ জন, করিমগঞ্জে ৪২ জন, তাড়াইলে ৪৮ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৬৫ জন, কটিয়াদীতে ৫৪০ জন, কুলিয়ারচরে ৬৩ জন, ভৈরবে ৬৩২ জন, নিকলীতে ৫০ জন, বাজিতপুরে ১৮৬ জন, ইটনায় ৩১ জন, মিঠামইনে ৩৪ জন ও অষ্টগ্রামে ৬৪ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ৩ হাজার ১২২ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৫ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১৬ হাজার ১০ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৫৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্মের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ১২ হাজার ৩১৪ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৭০২ জনকে। একই সময়ে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৮৭৫ জনকে। গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ২৫৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৩ হাজার ১২২ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬২ হাজার ১১৯ জন।