নিজস্ব প্রতিবেদক: শোকাবহ ১৫ আগস্ট আজ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল হায়েনার দল। ঘাতকদের হাত থেকে সেদিন রেহায় পায়নি বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে ১০ বছরের শিশু রাসেলও। দেশের বাইরে থাকায় সেদিন নির্মম এই হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযদ্ধের মধ্য দিয়ে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াসে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধু, তখনই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে কুচক্রিমহল সপরিবারে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুকে। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানসহ দেশ্রেমিক নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করে। পরে ’৭৫ এর ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চারনেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে তারা দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয়। প্রতিষ্ঠিত করা হয় রাজাকার-আলবদরদেরকে। ধর্ম ব্যবসায়ী, স্বাধীনতাবিরোধীদেরকে নামানো হয় রাজনীতির মাঠে। এর রেশ আজও বয়ে বেড়াচ্ছে জাতি।
আজ সারা দেশে ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস। এ দিনে খুনীদের প্রতি শুধু ঘৃণা নয়, শপথ নিতে হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলকে।