অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত) ৩৮জনের করোনা শনাক্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ১জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৫০২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২০৭ জনের। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১২ জন, হোসেনপুরে ২ জন, কটিয়াদীতে ৪ জন, ভৈরবে ১৮ জন ও অষ্টগ্রামে ২ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বুধবার রাত ১০ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ২৩ ও ২৪ আগস্ট (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ১২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ২৪ আগস্ট বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কিশোরগঞ্জ মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে মোট ৫৫ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ৫ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ১০ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৬ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৫ জন। একই সময়ে এ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২০৭ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১৭ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৮ হাজার ৯০২ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৩৯৩ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭৪৩ জন, হোসেনপুরে ২১৪ জন, করিমগঞ্জে ১৩ জন, তাড়াইলে ১৩ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৫৩ জন, কটিয়াদীতে ৪৮৫ জন, কুলিয়ারচরে ২৭ জন, ভৈরবে ৩৮৬ জন, নিকলীতে ৩৮ জন, বাজিতপুরে ১৩৭ জন, ইটনায় ১২ জন, মিঠামইনে ৪ জন ও অষ্টগ্রামে ৬৮ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ২ হাজার ৩৬৫ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ২৮ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৬ হাজার ৭০৫ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫ লক্ষ ২৪৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ৭১১ জনকে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৩৪৮ জনকে। একই সময়ে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ১৯২ জনকে। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৬৩ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ২৭ হাজার ৩৫৯ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৮ হাজার ১৬৭ জন।