অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (রবিবার রাত ৯টা পর্যন্ত) ২২ জনের করোনা শনাক্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৫৯০ জনে। করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২০৯ জনের। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০ জন, তাড়াইলে ১ জন, পাকুন্দিয়ায় ১ জন, কটিয়াদীতে ১ জন, কুলিয়ারচরে ২ জন, ভৈরবে ৫ জন ও বাজিতপুরে ২ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান রবিবার রাত ১১ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ২৬ ও ২৮ আগস্ট (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ১৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ২৮ আগস্ট বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১১৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কিশোরগঞ্জ মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে মোট ৭৩ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ২ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৮ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৩ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৩ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে মারা গেছেন ১ জন। ভৈরব উপজেলার ৫৮ বছর বয়সী একজন পুরুষ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া করিমগঞ্জ উপজেলার ৫০ বছর বয়সী একজন নারী নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২০৯ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২০ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৯ হাজার ৩৫৫ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ২৬ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬০৯ জন, হোসেনপুরে ৪৯ জন, করিমগঞ্জে ২ জন, তাড়াইলে ৬ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৫৯ জন, কটিয়াদীতে ৪৫৪ জন, কুলিয়ারচরে ২০ জন, ভৈরবে ৩৬৬ জন, নিকলীতে ৩৮ জন, বাজিতপুরে ১৩৯ জন, ইটনায় ১২ জন, মিঠামইনে ৪ জন ও অষ্টগ্রামে ৬৮ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৯৮৯ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৩৭ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ হাজার ৭৮৮ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৬৫০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৭৩১ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৯৯ জনকে। একই সময়ে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩০৪ জনকে। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ২ লক্ষ ৬ হাজার ২৭০ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৩৫ হাজার ১১৩ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৯ হাজার ১৩৬ জন।