অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত) ৯ জনের করোনা শনাক্ত এবং ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৬৯৪ জনে। করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২১৩ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে হোসেনপুরে ১ জন, কটিয়াদীতে ১ জন ও ভৈরবে ৭ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান শনিবার রাত ১০টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ২ সেপ্টেম্বর (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ৩ সেপ্টেম্বর বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন ও কিশোরগঞ্জ মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে মোট ৮ জনসহ মোট ৩০ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে কারও করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়নি।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৭ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৫ জন। এ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কটিয়াদী উপজেলার ৭২ বছর বয়সী একজন নারী গত শুক্রবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১৩ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৪ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১০ হাজার ৫৮ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪২৩ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪১০ জন, হোসেনপুরে ৩৮ জন, করিমগঞ্জে ৯ জন, তাড়াইলে ৬ জন, পাকুন্দিয়ায় ১৭৮ জন, কটিয়াদীতে ২৬২ জন, কুলিয়ারচরে ১৫ জন, ভৈরবে ৩২৩ জন, নিকলীতে ৩৪ জন, বাজিতপুরে ৬৬ জন, ইটনায় ৮ জন, মিঠামইনে ৩ জন ও অষ্টগ্রামে ৭১ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৪০১ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ২২ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ হাজার ২৩৭ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৬৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২০ জনকে। একই সময়ে সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৫২২ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৭৪৬ জনকে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৭৬ হাজার ৬৭০ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৬৯ হাজার ৫৯৭ জন। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ লক্ষ ৯ হাজার ৮১৮ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩৯ হাজার ১১৩ জন।