অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত) ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৭২২ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬ জন, হোসেনপুরে ১ জন, তাড়াইলে ১ জন, পাকুন্দিয়ায় ১ জন ও কটিয়াদীতে ২ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ৫ সেপ্টেম্বর বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১২২ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। এছাড়া কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ১ জন, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জন ও ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৮ জনসহ মোট ৭৬ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ২ জনের করোনা উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৫ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৬ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১৩ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৫ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১০ হাজার ২৫৬ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২৫৩ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩২৮ জন, হোসেনপুরে ৩৯ জন, করিমগঞ্জে ৯ জন, তাড়াইলে ৭ জন, পাকুন্দিয়ায় ১৪৯ জন, কটিয়াদীতে ২৬৬ জন, কুলিয়ারচরে ১৫ জন, ভৈরবে ৩০৫ জন, নিকলীতে ৩৫ জন, বাজিতপুরে ৬৬ জন, ইটনায় ৬ জন, মিঠামইনে ৩ জন ও অষ্টগ্রামে ২৫ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ২৩১ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ২২ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৩০২ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৫২৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ১৬৮ জনকে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৬৭ জনকে। একই সময়ে সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ১১৫ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৩ জনকে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৭৬ হাজার ৮৮৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৬৯ হাজার ৬৭৫ জন। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৩০২ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৫ হাজার ৮০৭ জন।