অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত) ১৪ জনের করোনা শনাক্ত এবং ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৭৩৬ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২ জন, কটিয়াদীতে ২ জন, কুলিয়ারচরে ৫ জন ও ভৈরবে ৫ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ৪, ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ৬ সেপ্টেম্বর বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ১ জন, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন ও কিশোরগঞ্জ মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে ৮ জনসহ মোট ৩৪ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে কারও করোনা উপসর্গ পাওয়া যায়নি।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৬ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৮ জন। এ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাকুন্দিয়া উপজেলার ৬৬ বছর বয়সী একজন পুরুষ গত সোমবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১৪ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৯ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১০ হাজার ৩০৫ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২১৭ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩০০ জন, হোসেনপুরে ৩৯ জন, করিমগঞ্জে ৯ জন, তাড়াইলে ৭ জন, পাকুন্দিয়ায় ১৪৯ জন, কটিয়াদীতে ২৬৮ জন, কুলিয়ারচরে ২০ জন, ভৈরবে ২৯০ জন, নিকলীতে ৩৫ জন, বাজিতপুরে ৬৬ জন, ইটনায় ৬ জন, মিঠামইনে ৩ জন ও অষ্টগ্রামে ২৫ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ২০১ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ১৬ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৭ হাজার ৪৪৭ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৩৩২ জনকে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩৬ জনকে। একই সময়ে সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ২৮২ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫৯ হাজার ৪৬৬ জনকে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৭৭ হাজার ২২০ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৬৯ হাজার ৭১১ জন। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৫৮৪ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ২৭৩ জন।