নিউজ একুশে ডেস্ক: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (সোমবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত) ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময় কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৮৯০ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫ জন ও ভৈরবে ২ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান সোমবার রাত ১০ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ১৪, ১৬ ও ১৮ সেপ্টেম্বর (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ১৯ সেপ্টেম্বর বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১৫১ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। এছাড়া কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ জন, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ৪ জন, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জন, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জনসহ মোট ৫২ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ২ জনের করোনা উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ১ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১৫ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১১ হাজার ৪৬৮ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০৭ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০৬ জন, হোসেনপুরে ২ জন, করিমগঞ্জে ১ জন, তাড়াইলে ৫ জন, পাকুন্দিয়ায় ২ জন, কটিয়াদীতে ৮ জন, কুলিয়ারচরে ৪ জন, ভৈরবে ৭১ জন, নিকলীতে ৪ জন, বাজিতপুরে ৩ জন ও মিঠামইনে ১ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ২০৬ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ১ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৩ হাজার ৭২২ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৪১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৬১৫ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৫ জনকে। একই সময়ে সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৪ হাজার ৯৯০ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ হাজার ১৫২ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৮১ হাজার ৫৪৫ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭০ হাজার ৩০০ জন। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ লক্ষ ৫৫ হাজার ২৮৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬৪ জন।