নিজস্ব প্রতিবেদক: এবারের দুর্গাপূজায় পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকও দায়িত্ব পালন করবেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক এক মত বিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। জেলা পুলিশের আয়োজনে বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ সুপার সম্প্রীতির মনোভাব বজায় রেখে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশ সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ। এখানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন। এরপরও কুচক্রিমহল মাঝে মাঝে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালায়। এদের সম্পর্কে সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার জন্যও তিনি আহ্বান জানান।
মত বিনিময় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন ও সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ দত্ত প্রদীপ, জেলা আনসার কার্যালয়ের উপ পরিচালক ও কমান্ডেন্ট মোস্তাক আহমেদ, কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আবুজর গিফারী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা মানিক রঞ্জন দে, কিশোরগঞ্জ কালীবাড়ি কমিটির সভাপতি এডভোকেট বিজয় শংকর রায় ও সাধারণ সম্পাদক পলাশ দত্ত রায়, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণব কুমার সরকার ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি রতন বসাক, সাবেক ট্রাস্টি লিপন রায় লিপু, জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি এডভোকেট মায়া ভৌমিক, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, জেলা মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রা সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, এ বছর জেলায় মোট ৪০৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় এগুলোর মধ্যে ৯১ টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ, ১৫৫টি গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ পূজা মণ্ডপ ১৫৮টি। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ১৮জন করে মোট ৫ হাজার ৬৪৮ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।
চারটি পর্যায়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হবে বলেও সভায় উল্লেখ করা হয়। এরমধ্যে প্রাক পূজা নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পূজা চলাকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা, প্রতিমা বিসর্জনকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পূজা পরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা।