হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ভার্মি কম্পোস্ট ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। স্থানীয় কৃষকরা উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় উৎপাদন করছেন ভার্মি কম্পোস্ট।
বিশেষ প্রজাতির কেঁচো, কচুরিপানা ও উদ্ভিদ বা প্রাণীর বর্জ্য বা দেহাবশেষকে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। কীটনাশক ও রাসায়নিক সার কৃষি জমিতে ব্যবহার করায় দিন দিন মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানান। এলাকার কৃষকরা এ নিয়ে প্রায়ই উপজেলা কৃষি বিভাগের স্মরণাপন্ন হচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি বিভাগ থেকে জমিতে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভার্মি কম্পোস্ট তৈরিতেও কৃষকদেরকে সহযোগিতা দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের জগদল ব্লকের কৃষক শুকুর মামুদ নিজ হাতে ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করছেন। রামপুর গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করে নিজের জমিতে ব্যবহারের পাশাপাশি বিক্রিও করছেন। এতে একদিকে যেমন বেশি ফলন উৎপাদন হচ্ছে, অন্যদিকে ভার্মি কম্পোস্ট বিক্রি করে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন তিনি। ডাহরা গ্রামের কৃষক কামাল মিয়া জানান, তিনি জমিতে ভার্মি কম্পোস্ট প্রয়োগ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। এ বিষেয়ে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পাচ্ছেন বলে জানান তারা।
জগদল ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুদাসিল হায়দার আলমগীর জানান, অনেক কৃষক নিজেরাই ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করছেন। এলাকার কৃষি জমিতে ভার্মি কম্পোস্টের ব্যবহার দিন দিনই বাড়ছে। ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনে কৃষকদেরকে সব ধরণের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরুল কায়েস জানান, মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভার্মি কম্পোস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জমিতে প্রচুর পরিমাণে জৈব সার প্রয়োগ করা হলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন পরিবেশবান্ধব বলে তিনি জানান।