ঢাকাশুক্রবার , ২৮ অক্টোবর ২০২২
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস ঐতিহ্য
  5. করোনা আপডেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রীড়া জগৎ
  8. জাতীয়
  9. তথ্য প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. নারী অধিকার
  12. প্রবাস সংবাদ
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. সম্পাদকীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভৈরবে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, শিক্ষানুরাগী নলিনী রঞ্জন দাসের স্মরণসভা

প্রতিবেদক
-
অক্টোবর ২৮, ২০২২ ৫:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: ভৈরবে গরীবের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত প্রয়াত নলিনী রঞ্জন দাসের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার প্রতিষ্ঠিত উপজেলার শিমূলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় স্মরণসভার আয়োজন করে।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আফিকুল ইসলাম হারিছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি বিশিষ্ট লেখক-কলামিস্ট মো. শফিকুল ইসলাম, প্রয়াতের ছোটভাই সম্প্রচার বিশেষজ্ঞ মনোরঞ্জন দাস, বিএনপি নেতা ডাক্তার আব্দুল ওয়াহাব, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, প্রয়াত ডা. নলিনী রঞ্জন দাস বহুগুণের অধিকারী ছিলেন। সাদা মনের মানুষ বলতে যা বুঝায়, তিনি ছিলেন তেমনই। ধর্ম-বর্ণ-গোত্রে নিজেকে আবদ্ধ করে না রেখে তিনি ছিলেন একজন সাদা মনের মানুষ। সমস্ত মানবিক গুণে তিনি ছিলেন গুণান্বিত। যা বর্তমানকালের জন্য খুবই বিরল।

বক্তারা আরও বলেন, তিনি তার ডাক্তারি পেশার শুরু থেকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বিনে পয়সায় রোগী দেখেছেন। ওষুধের মূল্য কেউ দিলে নিয়েছেন, না দিলে কখনোই চেয়ে নেননি। ফলে বহুবার ফার্মেসী দিলেও, তার সেই ব্যবসা লাভজনক হয়নি। পূঁজি হারিয়ে তিনি বারংবার দেউলিয়া হয়েছেন। কিন্তু এতে করে কখনও তার কোনো দু:খবোধ হয়নি। এটিকে বরং তিনি মানবসেবার ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন।

ঐতিহ্যবাহী শিমূলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তাদের পরিবার। গ্রামের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর লোকজনের সন্তানদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার প্রয়াসে বাবার দেওয়া স্কুলটি তিনি আমৃত্যু দেখভাল করেছেন। পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন বহু বছর। তার রোজগারের অধিকাংশ টাকা তিনি অকাতরে বিলিয়েছেন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ভৈরবে হানাদার ও রাজাকার প্রতিরোধ কমিটি গঠনের প্রথম সভাটি হয় তার বাড়িতে। সেই কারণে পাকবাহিনী তার বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। রাজাকাররা হামলা চালায় সেখানে। কিন্তু তাকে পিছু হঠাতে পারেনি লক্ষ্য থেকে। স্বাধীনতাযুদ্ধের পুরো ৯মাস তিনি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন।

বক্তারা বলেন, তিনি সমাজ বা রাষ্ট্র থেকে কখনও কিছু পাওয়ার আশা করতেন না। তিনি কেবলই দেওয়ার চেষ্টায় রত ছিলেন। রাগ, ক্রোধ, অহমিকা তাকে কখনই স্পর্শ করেনি। ধীর ও স্বল্পভাষী মানুষ ছিলেন তিনি। পেশার বাইরে বেশিরভাগ সময় তিনি ব্যয় করতে পড়াশোনা করে। সে কারণে তার জানার পরিধি ছিলো বহুমুখি ও প্রগাঢ়।

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, গরীবের ডাক্তারখ্যাত নলিনী রঞ্জন দাস বার্ধক্যজনিত নানারোগে ভোগে ইহধাম ত্যাগ করেন।

আপনার মন্তব্য করুন