পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: ঈদকে কেন্দ্র করে কতই না আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে মানুষ। আনন্দের এই ধারায় যুক্ত হয়েছে ‘জলানন্দ’।
ঈদ উপলক্ষে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আয়োজন করা হয় জলানন্দ উৎসবের। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের হরশি বড়বাড়ি পুকুরে এসো সমাজ গড়ি সংঘের উদ্যোগে “ওয়াটার পোলো” নামে এ ঈদ জলানন্দ উদযাপিত হয়।
আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ৭ম বছরের মতো পানিতে হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতায় চাচা বনাম ভাতিজার দল অংশগ্রহণ করে।
খেলায় সুখিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আজিজুল হক তোতার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো. রেজাউল করিম বজলু। খেলাটি উদ্বোধন করেন সুখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ টিটু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাকুন্দিয়া পৌরসভার কাউন্সিল আরিফুল ইসলাম, রাকিবুল আলম ছোটন, বিডি ক্লিনের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সমন্বয়ক মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয় প্রমুখ।
খেলায় ভাতিজার দলকে পরাজিত করে বিজয়ী হন চাচার দল। জলানন্দ দেখতে পুকুরের চার পাড়ে উপচেপড়া ভিড় জমে ক্রীড়ামোদি হাজারো মানুষের।
খেলাটি পরিচালনা করেন পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়া শিক্ষক মো. হাবিবুল্লাহ তমিজ। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।
ওয়াটার পোলো এক ধরনের জলক্রীড়া যা বল সহযোগে দলগতভাবে জলে খেলা হয়। তবে জলের এই পোলো খেলার সাথে হ্যান্ডবল খেলার মিল পাওয়া যায়। হ্যান্ডবল খেলার মতো হাতে পাস আর বল শুটের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়ে স্কোর করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকে ওয়াটার পোলোর খেলোয়াড়রা।
দেশীয় মেলার উৎসবে সাঁতারের দক্ষতা এবং শক্তির প্রদর্শন হিসেবে উনিশ শতকের শেষের দিকে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে ওয়াটার পোলো খেলার প্রচলন শুরু হয় যা পরবর্তীতে ১৯০০ সালে আধুনিক অলম্পিকে পুরুষদের জন্য অন্তর্ভূক্ত করা হয়। বর্তমানে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ওয়াটারপোলো একটি জনপ্রিয় খেলার নাম।