ঢাকাThursday , 14 August 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস ঐতিহ্য
  5. করোনা আপডেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রীড়া জগৎ
  8. জাতীয়
  9. তথ্য প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. নারী অধিকার
  12. প্রবাস সংবাদ
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. সম্পাদকীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বৈধতার সকল সনদ থাকার পরও গুড়িয়ে দেওয়া হলো সামিয়া ইটভাটা

প্রতিবেদক
-
August 14, 2025 6:38 pm
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার বনমালীপুর এলাকার মেসার্স সামিয়া ব্রিকস নামক প্রতিষ্ঠানটিকে কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র দিয়েছিল গত বছরের ৪ নভেম্বর। চলতি বছরের ৭ অক্টোবর এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এর আগেই ইটভাটাটি গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

ইটভাটার মালিক মো. জহুরুল হক জানান, বাবার মৃত্যুর পর থেকে তিনি নিজেই ইটভাটাটি পরিচালনা করে আসছেন। কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) হোয়াটসঅ্যাপে ছাড়পত্র বাতিলের নোটিশ পাঠান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক। নোটিশটি ছিল প্রায় দেড় মাস আগের অর্থাৎ ৩ জুলাই তারিখের স্বাক্ষরিত। এ অবস্থায় তিনি হালনাগাদ নোটিশ দাবি করলে ফোন কেটে দেন কর্মকর্তা। ঐদিনই তিনি হাইকোর্টে রিটপিটিশন দায়ের করেন। পরদিন বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ গিয়ে ইটভাটাটি গুড়িয়ে দেয়। হাইকোর্টের রিটপিটিশনের কপি দেখালেও সহকারী পরিচালক কোনো তোয়াক্কা করেননি। কর্তৃপক্ষ ডাকযোগে নোটিশ পাঠালেও সেই নোটিশ পৌঁছে ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়ার পরিদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট)।

জহুরুল হক আরো জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর তো বটেই জেলা প্রশাসন থেকে যে লাইসন্স দেওয়া হয়েছিল সেটারও মেয়াদ রয়েছে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। এছাড়া এ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র হালনাগাদ  রয়েছে। এরপরও হঠাত করে ইটভাটাটি গুড়িয়ে দিয়ে তার আয় রোজগারের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে জড়িত ৫০/৬০ জন শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়েছে। ইটভাটাটি পরিচালনা করতে গিয়ে কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইটভাটাটি গুড়িয়ে দেওয়ায় এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মমিন ভূইয়া জানান, ইটভাটার অনুকূলে দেওয়া ছাড়পত্র গত ৩ জুলাই  বাতিল করা হয়েছে। বাতিলের নোটিশ ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে।  মালিক কর্তৃক হাইকোর্টে রিটপিটিশনের বিষয়ে তিনি জানান, রিটপিটিশন দায়ের করলে প্রথমে ফাইল এবং পরে শুনানী হয়। শুনানী অনুযায়ী যে নির্দেশনা দেওয়া হয়, সেই নির্দেশনা আমরা মেনে চলি। হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা দেয়নি বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।

আপনার মন্তব্য করুন