নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জে মাদ্রাসাশিক্ষককে হত্যাচেষ্টা ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। আটক শিক্ষকের ছেলে মুহাইমিন (২৩) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকালে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর বিচারক রাশেদুল আমীনের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার জানান, মুহাইমিন ইয়াবার নেশায় আসক্ত। নেশার টাকার জন্য প্রায়ই তার বাবাকে বিরক্ত করতো। এছাড়া বিদেশে পাঠানোর জন্যও তার বাবাকে চাপ দিচ্ছিল। এ নিয়ে প্রায়ই ছেলের সাথে বাবার কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হতো। সোমবার রাত ৯ টার দিকে টাকার জন্য বাবাকে চাপ দিলে তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে বাবা লুৎফুর রহমান ছেলেকে বাসার ছাদে নিয়ে যান। ছাদে গিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ছেলে মুহাইমিন সার্জারীর কাচি দিয়ে তার বাবাকে আঘার করেন।
পরিবারের লোকজন বিষয়টা গোপন করতে গিয়ে ঘটনা অন্যখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিল। তবে ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা বুঝতে পেরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে রাতেই মুহাইমিনকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথমে পুলিশের কাছে ঘটনা স্বীকার করেন মুহাইমিন। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যার পর ছুরিকাঘাতে কিশোরগঞ্জ আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ও শহরের কাচারী বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা লুৎফুর রহমান আহত হন। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহে নেওয়া হয়।
সোমবার সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার মারিয়া এলাকায় বিসিক শিল্প নগরির পাশে নিজ বাসার ছাদে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমেদ রশিদ তাদের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, মাগরিবের নামাজের পর কে বা কারা তাকে বাসার ছাদে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে। তাকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহে রেফার্ড করা হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাতেই তার অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকামুক্ত বলে জানা গেছে।
আপনার মন্তব্য করুন