ঢাকাসোমবার , ১ এপ্রিল ২০২৪
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস ঐতিহ্য
  5. করোনা আপডেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রীড়া জগৎ
  8. জাতীয়
  9. তথ্য প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. নারী অধিকার
  12. প্রবাস সংবাদ
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. সম্পাদকীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ওসির মানবিকতায় মুগ্ধ নিকলীর মানুষ

প্রতিবেদক
-
এপ্রিল ১, ২০২৪ ১:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিকলী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: রাস্তায় পুলিশের গাড়ি থামিয়ে দেয়। গাড়ি থেকে নামলেই তাকে ঘিরে ধরে মানুষ। একনজর দেখতে, একটু কুশল বিনিময় করতে, সময় থাকলে তাকে চা পান করিয়েই ছাড়ে। তিনি কোনো জনপ্রতিনিধি কিংবা এলাকার প্রভাবশালী কেউ নন। মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ ব্যক্তিটি কিশোরগঞ্জের নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. শাহাদত হোসেন।

নিকলী থানায় যোগদান করেছেন গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর। অল্প কদিনেই নিকলীবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন তিনি।

এ সমাজে পুলিশকে যেখানে অন্য দৃষ্টিতে দেখা হয়, সেখানে একজন ওসির প্রতি কেন মানুষের ইতিবাচক মনোভাব-এমন প্রশ্নের জবাবে নিকলী সদরের কামারহাটি গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাজী আছমত আলী বলেন, ওসি সাহেব নিকলীতে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে অপরাধীদের প্রতি কঠোর বার্তা দিচ্ছেন। আর সাধারণ মানুষকে তিনি কাছে টেনে নিচ্ছেন। পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা মামলা মোকদ্দমা এড়িয়ে সালিশের মাধ্যমে সমাধান করে দিচ্ছেন। এর ফলে মামলা ও অপরাধের সংখ্যা কমে গেছে। গত ৩০/ ৪০ বছরের মধ্যে নিকলীবাসী এমন মানবিক ওসি পায়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নিকলী সদরের পুকুরপাড় গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি হাসান আলী বলেন, ওসি সাহেবের চেহারাতেই মানবিকতার ছাপ। কথাবার্তা ও আচরণে ভদ্রতার স্বাক্ষর রাখছেন। পুলিশে সচরাচর এমন মানুষ পাওয়া যায়না বলে মনে করেন তিনি।

গাজীপুর জেলা সদরের বড় কয়ের গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন ও আমেনা বেগম দম্পতির পাঁচ ছেলের মধ্যে এস এম শাহাদত হোসেন সবার ছোট। ১৯৮৯ সনে স্নাতক পাশ করেন তিনি। পুলিশের চাকরিতে ২০০০-২০০৩ পর্যন্ত প্রভিশনাল সময় পার করে প্রথম পোস্টিং হয় ঢাকার রমনা থানায়। র‌্যাবেও কিছুদিন ছিলেন। প্রায় তিন বছর কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী থানায় ওসি হিসেবে চাকরি করেন। প্রতিটি কর্মস্থলেই সততা, ন্যায়নিষ্ঠতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। মানবিক আচরণের কারণে আগের কর্মস্থলের অনেক মানুষ এখনো তার খোঁজ খবর নেন।

ওসি এস. এম. শাহাদত হোসেন বলেন, মানুষ হিসেবে প্রত্যেকেই সম্মান পাওয়ার অধিকারী। সাধারণ মানুষের প্রতি আমি যেমন সংবেদনশীল, তেমনি অপরাধীদের জন্য আতংকের। বিনা অপরাধে কেউ যেন হয়রানীর শিকার না হয়, সহকর্মীদের প্রতিও এমন নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন তিনি।

আপনার মন্তব্য করুন