ঢাকারবিবার , ৭ এপ্রিল ২০২৪
  1. – 99
  2. 1Win Brasil
  3. 1win Yüklə Android Apk Və Ios App 2023 əvəzsiz Indir Plant-based Products – 688
  4. 1xBet Azerbaycan Qeydiyyat Mobi AZ Yukle Elaqe Nomresi Benchmark Commercial Lending 157 – 233
  5. 1xBet giriş, güzgü 1 xBet Azərbaycanda rəsmi sayt – 673
  6. 1xbet Mobi Cihazlarınız Üzrə Mobil Tətbiqi Android Os Cihazlar üçün 1xbet Mobile Tətbiq – 186
  7. 1xbet Morocco
  8. casino
  9. Kazino Online Casino Official Site, Big Bonuses, Site Mirror, Casino Entrance, Payment Acceptance, Big Jackpot – 626
  10. mostbet apk
  11. mostbet az 90
  12. Mostbet Az-90 Kazino Azerbaycan Lap Yaxşı Bukmeyker Formal Saytı – 331
  13. mostbet azerbaijan
  14. mostbet kirish
  15. Mostbet Mobil Tətbiq: Azərbaycandan Olan Oyunçular üçün Icmal 2023 – 598
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শোলাকিয়ায় ঈদজামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন, থাকছে চারস্তরে নিরাপত্তা, জামাত শুরু সকাল ১০টায়

প্রতিবেদক
-
এপ্রিল ৭, ২০২৪ ৪:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন: ঈদজামাতের জন্য এখন পুরোপুরি প্রস্তুত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় থাকছে চারস্তরে নিরাপত্তা। এবার ঈদগাহের জন্য এটি ১৯৭ তম ঈদুল ফিতরের জামাত। সকাল ১০ টায় শুরু হবে ঈদজামাত। মাঠের রেওয়াজ অনুযায়ী শটগানের গুলি ফুটিয়ে ঈদের জামাত শুরু করা হবে। ইমামতি করার কথা রয়েছে শোলাকিয়া ঈদগাহের নিয়মিত ইমাম ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। তার অনুপস্থিতিজনিত কারণে বিকল্প ইমামও রাখা হয়েছে।

ঈদগাহ মাঠের দাগকাটা, মিম্বর দেয়ালে রং করা, মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন টানানো মাইক স্থাপন, ওজুখানা, টয়লেট সংস্কারসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

শোলাকিয়ায় ২০১৬ সালের জঙ্গি হামলাকে মাথায় রেখে প্রতিবছর বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন। এবারও অনেকটা সেরকমই থাকছে। ইতোমধ্যে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ র‌্যাবের কর্মকর্তারা একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন শোলাকিয়া ময়দান। 

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শোলাকিয়ায় এবার সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ১৩০০ পুলিশ, র‌্যাবের ৮টি টিম (প্রতি টিমে জন করে) ১০০ বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকবে। পুরো মাঠ পর্যবেক্ষণের জন্য বসানো হয়েছে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার। ঈদেরদিন মাঠের বিভিন্ন প্রান্তে থাকবে ১৩ টি আর্চওয়ে। বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। থাকবে ড্রোন ক্যামেরাও। এছাড়া আনসার সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। বোম ডিসপোজাল টিমও থাকবে। ঈদেরদিন এখানে ফায়ার সার্ভিস কাজ করবে। ছয়টি অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম থাকবে। ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদেরদিন মুসল্লিদেরকে শুধুমাত্র জায়নামাজ নিয়ে মাঠে আসার অনুরোধ করেছেন।

রবিবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, র‌্যাব১৪ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন করেন। তারা জানান, এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোন হুমকি পাওয়া যায়নি। এরপরও ২০১৬ সালের জঙ্গি হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন শোলাকিয়ায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তা এবং ঈদজামাত সুন্দর নি্র্বিঘ্ন করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বদ্ধপরিকর বলেও জানান তারা। প্রতিটি মুসল্লিকে নিরাপত্তা বেষ্টনির ভিতর দিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে হবে। মুসল্লিদেরকে দিয়াশলাই, গ্যাস লাইটার ছাতা নিয়ে ঈদগাহে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।

ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ঈদজামাত আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আনসার, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, সাদা পোশাকে পুলিশ ছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেটরাও দায়িত্ব পালন করবেন। লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তা ঈদজামাত নির্বিঘ্ন করতে যা যা করার সবই করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, দূরের মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ঈদেরদিন শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি বিশেষ  ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরমধ্যে সকাল পৌনে ছয়টায় ময়মনসিংহ থেকে একটি ট্রেন এবং ভৈরব থেকে সকাল ছয়টায় একটি ট্রেন কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। ঈদজামাত শেষে দুপুর ১২ টায় কিশোরগঞ্জ  স্টেশন ছেড়ে যাবে দুটি ট্রেন।

প্রসঙ্গত, ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ২০১৬ সালের জুলাই ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় দুই পুলিশ সদস্যস্থানীয় এক নারী এবং এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হন। হামলায় পুলিশসহ ১৬ মুসল্লি আহত হন। কিন্তু এরপরও ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানের ঈদজামাতে মুসল্লিদের সমাগমে এতটুকু ভাটা পড়েনি।

১৮২৮ সনে ঈদজামাতের মধ্য দিয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহের গোড়াপত্তন হয়। জনশ্রুতি আছে, শাহ সুফি সৈয়দ আহমদের ইমামতিতে প্রথমবার ঈদের জামাতে ‘সোয়া লাখ’ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। আবার কারও মতে, এ পরগণায় খাজনা আদায়ের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। সে কারণে এর নামকরণ হয় শোয়ালাখিয়া থেকে  শোলাকিয়া। ১৯৫০ সালে শহরের হয়বতনগরের দেওয়ান মান্নান দাদ খাঁ (মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ষষ্ঠ বংশধর) ঈদগাহের জন্য ৪ দশমিক ৩৫ একর জমি শোলাকিয়া ঈদগাহে ওয়াকফ করেন। পরে শোলাকিয়া সাহেব বাড়ির দানকৃত জমিসহ আরও কিছু জমি এ ঈদগাহের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বর্তমানে প্রায় সাত একর জমির ওপর এ ঈদগাহের অবস্থান। ঈদুল ফিতরে মাঠ ছাড়িয়ে পাশের সড়ক, সেতুসহ অলিগলিতেও মুসল্লিরা ঈদের জামাত আদায় করেন। বর্তমানে সব মিলিয়ে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মুসল্লি ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করে থাকেন।

আপনার মন্তব্য করুন

error: কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ!!