ইয়াসিন আরাফাত, সিঙ্গাপুর থেকে: আজ সিঙ্গাপুরের ৫৬ তম স্বাধীনতা দিবস। এ উপলক্ষে দেশটির মেরিনা বে ফ্লোটিং প্লাটফর্মে জাতীয় প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। এত অংশ নেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ৬০০ সদস্য। করোনার কারণে এবার কম সংখ্যক সদস্য দিয়ে প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। অতিথিও ছিলেন হাতে গোনা, মাত্র ১০০ জনের মত। তবে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আরও ২০০ জনের মত অতিথি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি হালিমা ইয়াকুব, প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যরা। করোনার কারণে তারা সরকারি নির্দেশনা মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে আসন গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে কোভিড পরীক্ষার আওতায় আনা এবং সবাইকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। জনসমাগম এড়াতে মেরিনা বে এলাকার কিছু অংশ জনসাধারণের জন্য মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছিল।
মালোশিয়া থেকে ১৯৬৫ সালের ৯ আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করে সিঙ্গাপুর। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র হল সিঙ্গাপুর। এখানে ছোট বড় ৬৩টি দ্বীপ রয়েছে। স্বাধীন হওয়ার পর থেকে পিপলস অ্যাকশন পার্টিই ক্ষমতায় রয়েছে । সিঙ্গাপুরে বিরোধী দলের কোন কার্যক্রম নেই বললেই চলে। এখানে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫৭ লক্ষ। দেশটিতে রাজনৈতিক কোন্দল, হানাহানি নেই বললেই চলে। প্রত্যেক নাগরিক রাষ্ট্রীয় সমান সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকেন এখানে। দেশপ্রেমের মনোভাব সবার মধ্যেই। স্বাধীনতার বছর সিঙ্গাপুরের মাথা পিছু আয় ছিল ৫৫০ মার্কিন ডলার। আর বর্তমানে মাথাপিছু আয় ৯৩ হাজার মার্কিন ডলার। এখানে আইনের উর্ধে কেউ নেই। সবাই আইন মেনে চলেন।
প্রবাসী বাংলাদেশি মওদুদ আহমেদ রুবেল বলেন, আমি ২০১১ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে আছি, আজ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ হতে দেখিনি। সিঙ্গাপুরে নাগরিকদের সবাই শিক্ষিত। করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকেই সিঙ্গাপুর সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ফলে এখানে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারও অত্যন্ত কম। প্রবাসীদের প্রতি সিঙ্গাপুর সরকার খুবই আন্তরিক।