স্টাফ রিপোর্টার: প্রায় ২০০ বছরের পুরনো ও বড় ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ইতিহাসের অংশ। ঐতিহাসিক এ ঈদগাহে এবার নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত ঈদুল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হবেনা। এর আগেরবারও করোনার কারণে বন্ধ ছিল শোলাকিয়ায় ঈদজামাত। এবার এ ঈদগাহে হওয়ার কথা ছিল ১৯৪তম জামাত। করোনা মহামারির কারণে শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করোনা মহামারির বিস্তার ঠেকাতে শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদের জামাত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদগুলোতে একাধিক ঈদের নামাজ হবে।
শোলাকিয়া ঈদগাহের মোতাওয়াল্লি দেওয়ান ফাত্তাহ দাদ খান মঈন এ প্রসঙ্গে বলেন, শোলাকিয়া ঈদগাহের ইতিহাসে এবার নিয়ে দুবার ঈদুল আযহার জামাত বন্ধ করা হল। শোলাকিয়ার ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে পূর্ব পুরুষ থেকে অদ্যাবধি যারা জড়িত, তাদের জন্য সেটা খুবই কষ্টের এবং বেদনার বলে তিনি উল্লেখ করেন। করোনা মহামারি মোকাবিলা করে আগামীতে আবারও উৎসবমুখর হবে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান, এ প্রত্যাশা তার।
জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, করোনা মহামারীর কারণে ঈদগাহগুলোতে ঈদের জামাত আদায় নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তবে স্থানীয়ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঈদগাহে জামাত আদায়ের সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। কিন্তু শোলাকিয়া যেহেতু বড় ঈদগাহ, আর এখানে দূর দূরান্তের মুসল্লিরা এসে থাকেন, সে কারণে শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদের জামাত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুসল্লিরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদগুলোতে ঈদের নামাজ পড়বেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ১৮২৮ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহে প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় সাত একর আয়তনের এ ঈদগাহে ঈদের জামাতে লক্ষ লক্ষ মুসল্লির জমায়েত হয়।