ঢাকাSaturday , 25 September 2021
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস ঐতিহ্য
  5. করোনা আপডেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রীড়া জগৎ
  8. জাতীয়
  9. তথ্য প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. নারী অধিকার
  12. প্রবাস সংবাদ
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. সম্পাদকীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রতিবন্ধী যুবকের দাবিদার দুই পরিবার

প্রতিবেদক
-
September 25, 2021 12:38 am
Link Copied!

নাঈম শেখ, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) থেকে: এক প্রতিবন্ধী যুবকের পরিচয় নিয়ে দুই পরিবারে শুরু হয়েছে টানাটানি। এক পরিবার ছেলেটিকে তাদের নিজেদের সন্তান দাবি করলেও আরেক পরিবার দাবি করছে, ছেলেটি তাদের হারিয়ে যাওয়া সন্তান। স্থানীয় শালিস দরবারে বিষয়টির সমাধান না হওয়ায় ডিএনএ (ডি অক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড) পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের হাসেনপুর গ্রামের আবুল কালামের পরিবারের দাবি ২১ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী যুবকটি তাদের সন্তান। ছেলেটির নাম মিলন মিয়া। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তাড়াবো পৌরসভার দক্ষিণ রূপসী এলাকার কাজী অরুণের পরিবারের দাবি ওই প্রতিবন্ধী যুবক মিলন নয়, সে তাদের হারিয়ে যাওয়া সন্তান কাজী আলভী। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নান্দাইলের পাঁচরুখি গ্রামের জনৈক সোহাগ মিয়া সম্প্রতি ওই প্রতিবন্ধী যুবককে নিয়ে একটি টিকটক ভিডিও তৈরি করে তার আইডিতে পোস্ট করেনভিডিওটি দেখে ওই প্রতিবন্ধী যুবককের সন্ধানে গত ২১ সেপ্টেম্বর নান্দাইলে আসেন চাচা দাবিদার কাজী আক্তার হোসেন, সহোদর এক বোন, এক চাচাতো বোন এক ফুফু। তারা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে নান্দাইল মডেল থানার ওসির সহযোগিতা চান। ওসি বিষয়টি দেখার জন্য চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন মিল্টন ভূঁইয়াকে দায়িত্ব দিলে তিনি একাধিক আলোচনা শালিসের আয়োজন করেন। কিন্তু এর কোন সুরাহা হয়নি। 

চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন মিল্টন ভূঁইয়া  জানান, প্রতিবন্ধী যুবকটি হাসেনপুর গ্রামে আবুল কালামের সন্তান পরিচয়ে বসবাস করে আসছে। 

আবুল কালামের বড় ছেলে চন্দন মিয়া দাবি করেন, তারা একসময় ঢাকার পান্থপথে থাকাকালীন তার ছোট ভাই মিলন হারিয়ে গিয়েছিল। হারানোর মাস পর হাতিরঝিল এলাকা থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর তারা গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। দুই বছর ধরে মিলন সরকারিভাবে প্রতিবন্ধী ভাতাও পাচ্ছে। 

অপরদিকে যুবকটির চাচা দাবিদার আক্তার হোসেন জানান, আলভীর জন্ম ২০০০ সালে। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে সবার অজান্তে সে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ মিলেনি। এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়রি, মাইকিং করাসহ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তানের শোকে কাঁদতে কাঁদতে গত আড়াই বছর আগে তার মা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেনতিনি দাবি করেন, ছেলেটি মিলন মিয়া নয়, হারিয়ে যাওয়া কাজী আলভী ডিএনএ পরীক্ষায় যদি তাদের সন্তান প্রমাণিত না হয়, তাহলে তাকে নিয়ে কোনো আপত্তি থাকবে না বলেও বলেন তিনি

শেরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন মিল্টন ভূঁইয়া জানান, আপাতত সমাধান না হওয়ায় ডিএনএ পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, স্থানীয়ভাবে চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সমাধান না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মন্তব্য করুন