ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এসএসসির প্রথম দিনের পরীক্ষা দিতে না পেরে দুই শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করলে তারা প্রাণে রক্ষা পান।
পরীক্ষার্থীরা হলো ভৈরব পৌর শহরের জগনাথপুর এলাকার হাজী ইউছুফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও ভৈরব এম পি গার্লস হাইস্কুলের এক ছাত্রী। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান সবুজ অভিভাবকদের ডেকে এনে তাদের দুইজনকে হস্তান্তর করেন।
জানা গেছে আজ রবিবার ছিল এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন। দুপুর ২ টায় বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হবে বলে ভূল তথ্য ছিল দুই শিক্ষার্থীর। সকাল ১০ টার দিকে জানতে পারে পরীক্ষার সময়সূচি সকাল ১০ টায়। পরে সকাল পৌনে ১১ টায় পরীক্ষা কেন্দ্র সরকারী কেবি পাইলট মডেল হাইস্কুলে ছুটে গেলে কর্তৃপক্ষ দুজনকে হলে ঢুকতে দেননি। এসময় সময় প্রায় ১১ টা বেজে যায়। পরে হতভম্ব হয়ে তারা দুজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ছুটে যায়। সেখানে ইউএনওকে না পেয়ে তারা উপজেলা পরিষদের সামনে ভৈরব–কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে চলাচলকারী বাসের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করতে ছুটে যায়। এসময় ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করছিলেন সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মী আরিফুল ইসলাম মামুন। দুজনকে এ অবস্থায় দেখে মামুন তাদের পিছনে পিছনে গিয়ে পথচারী ও জনতার সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে দুজনের অভিভাবক ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। পরে তাদের অভিভাবকরা এ দুজনকে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র কেবি স্কুলে গিয়ে ইউএনওর কাছে ঘটনাটি অবহিত করলেও তারা পরীক্ষা দিতে পারেনি।
পরীক্ষা কেন্দ্র ভৈরব সরকারী পাইলট মডেল কেবি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে দুজন পরীক্ষার্থী বেলা সাড়ে ১১ টায় কেন্দ্রে পৌঁছে। এ কারণে তাদেরকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। নিয়মের বাইরে কেন্দ্রে উপস্থিত হলে পরীক্ষা দেয়ার কোন সুযোগ নেই বলে তিনি জানান।
ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম জানান, আত্মহত্যার চেষ্টা ঘটনা সংক্রান্ত কোন বিষয় জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, বিষয়টি জেনে ঢাকা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করি। কিন্ত কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেয়ায় তাদের পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। তারা পরীক্ষা দিবে, সময়সূচি জানবেনা, এ ধরনের ভুল দুঃখজনক। তাদের অভিভাবকদের বলেছি, বাকী পরীক্ষাগুলো দিতে। এক বিষয় পরীক্ষা আগামী বছর দিতে পারবে। পরীক্ষা দিতে না পেরে তারা অনেকটা ইমোশনাল হয়ে ছোটাছুটি করছিল বলে জানান তিনি।