নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ শওকতের মাতা সন্ধ্যার মা আর নেই। বুধবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বারঘড়িয়া ইউনিয়নের ফতোরগোপ আতিব বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
বার্ধক্যজনিত কারণে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে তিনি কিছুদিন ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। মৃত্যুকালে তিনি চার ছেলে, ছয় মেয়ে, নাতি–নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় স্থানীয় মসজিদে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
তার মৃত্যুতে মুক্তিযুদ্ধ গণ গবেষণা কেন্দ্রের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইকবাল গভীর শোক প্রকাশ, তার আত্মার শান্তি কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
অপর এক শোক বার্তায় যুদ্ধাপরাধ প্রতিরোধ আন্দোলন কমিটির সভাপতি সাংবাদিক রেজাউল হাবিব রেজা বলেন, এমন মহীয়সী মায়েদের জন্যেই মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জন ত্বরান্বিত হয়েছিল। তিনি তার আত্মার শান্তি কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস উদযাপনের দিনগুলোতে শিক্ষার্থী নাতি–নাতনীদের কাছে যুদ্ধদিনের স্মৃতিকথা তুলে ধরতেন। পুত্রশোকে বিহ্বল হয়ে কখনো বিলাপ করতেন। পুত্রশোকে কাঁদতে কাঁদতে দৃষ্টিশক্তি হারালেও মনোবল হারাননি কখনো। যুদ্ধদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মহান স্বাধীনতার জন্য পুত্রের জীবনদানকে তিনি গর্বের সাথে প্রকাশ করতেন। যুদ্ধের কঠিন দিনগুলোতে নিজহাতে খাবার তৈরি করে তিনি পুত্র শওকতের মাধ্যমে স্বাধীনতার সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছাতেন।
সন্ধ্যার মা ১৯৭১ সনের ১২ নভেম্বর করিমগঞ্জ গণহত্যা দিবসে শহীদ শওকত এর মা ও শহীদ খুর্শিদ উদ্দিন এর একমাত্র বোন। তিনি সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বিপ্লবের দাদি।
