এবার ভিন্ন আঙ্গিকে উদযাপন করা হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। দেশের শাসন ক্ষমতায় নেই কোনো রাজনৈতিক দল। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায়।
যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিল, ৫৩ বছর পরও সে আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হয়নি। এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ। এখনো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত অসংখ্য মানুষ। যখনই যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় গিয়েছে, তারা নিজেদের মতো করে দেশ পরিচালনা করেছে। শোষণ, লুণ্ঠন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ হয়েছে ভুলুণ্ঠিত।
এবারের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন সামনে এসেছে। এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। তারা দেশের যে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, তা থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবেনা। সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেন বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন হাতছানি দেয়, সে প্রত্যাশা সকলের।