ইস্পাত কঠিন ঐক্য থাকলে কোনো অপশক্তিই তা রুখতে পারেনা। এবারের কোটা সংস্কার আন্দোলনেও ছাত্র জনতা সেটাই প্রমাণ করেছে। স্বৈরশাসকেরা কোনো ন্যায্য দাবিকেই প্রথমে পরোয়া করেনা। দাবি না মেনে নানা কৌশল অবলম্বন করে। সন্ত্রাসী বাহিনীও লেলিয়ে দিয়ে আন্দোলন নস্যাত করতে চায়। এমনকি রাষ্ট্রীয় বাহিনীকেও ব্যবহার করে। যা অতীতেও দেখা গেছে। অতীতে যেমন রক্ত ঝরিয়ে দাবি আদায় করতে হয়েছে, এবারও তেমনি অনেক রক্ত ঝরাতে হয়েছে। কিন্তু ছাত্র জনতার ঐক্যের কাছে টিকতে পারেনি তারা।
দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে এখন দরকার দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন। ছাত্র জনতাকে এ দাবিতেও সোচ্চার হতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রের রন্দ্রে রন্দ্রে যে দুর্নীতি বাসা বেধেছে, সেটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। হানাহানি, লুটপাট বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে সুশাসন, ন্যায়বিচার ও সমতা। রক্ষা করতে হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে। নতুন করে দেশ গড়ার কাজে লাগাতে হবে এ বিজয়কে। মনে রাখতে হবে বিজয় অর্জন যত সহজ, বিজয় ধরে রাখা ততই কঠিন।