ঢাকারবিবার , ২৯ আগস্ট ২০২১
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস ঐতিহ্য
  5. করোনা আপডেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রীড়া জগৎ
  8. জাতীয়
  9. তথ্য প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. নারী অধিকার
  12. প্রবাস সংবাদ
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. সম্পাদকীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হাওরের সৌন্দর্যে মুগ্ধ শিক্ষকরা

প্রতিবেদক
-
আগস্ট ২৯, ২০২১ ১:০৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: অথৈ জলরাশি, ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ, দিগন্ত বিস্তৃত হাওর। হাওরের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা সড়ক আর দৃষ্টিনন্দন সেতু। সব মিলিয়ে হাওর এখন অপরূপ সৌন্দর্যের আধার।

কিশোরগঞ্জের হাওর। এক সময়ের অবহেলিত হাওরকে সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি হিসেবে গড়ে তুলেছেন ভাটিশার্দূল খ্যাত রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। যে হাওরকে উজান এলাকার মানুষ একসময় অবহেলা অবজ্ঞার চোখে দেখতো, সেই হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দলে দলে ছুটে যাচ্ছেন উজান এলাকার মানুষেরাই।

শনিবার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কড়িয়াইল ক্লাস্টারের শিক্ষকরা সারাদিন ঘুরে বেড়িয়েছেন হাওরে। ২৬টি বিদ্যালয়ের ৩৫ জন শিক্ষক সকালে করিমগঞ্জের চামটা ঘাট থেকে ট্রলারে করে রওনা হন মিঠামইনের পথে। ট্রলারেই তারা প্রাতরাশ সারেন। ঢেউ ভেঙ্গে বিকট শব্দে ট্রলার এগিয়ে চলে। যতদূর চোখ যায় পানি আর পানি। মাঝে মাঝে ছোট ছোট গ্রামগুলোকে দেখে  মনে হয় যেন পানির উপর ভাসছে। আগন্তুকরা দুচোখ ভরে উপভোগ করেন হাওরের সৌন্দর্য। দুপুরের আগেই ট্রলার পৌঁছে যায় মিঠামইনের কামালপুর ঘাটে। তারা প্রথমে যান কামালপুরে রাষ্ট্রপতির বাড়িতে। কিছুক্ষণ এ বাড়িতে কাটিয়ে অটোরিকশাযোগে যান অষ্টগ্রাম উপজেলার ভাতশালা সেতুতে। প্রখর রোদের মাঝেও হাওরের ঝিরঝির হাওয়া অনেকটাই প্রশান্তি এনে দিয়েছিল সকলের মাঝে। সৌন্দর্যমণ্ডিত ভাতশালা সেতু এলাকায় কিছুক্ষণ কাটিয়ে তারা অটোরিকশায় করে চলে যান আরেক হাওরকন্যা ইটনা উপজেলায়। সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে সকলেই ট্রলারে করে রওনা হন চামটা ঘাটের পথে।

ভ্রমণের অনেকটা সময় নানা কথা ও ছন্দে সকলকে আনন্দে ভরিয়ে রাখেন সদরের পশ্চিম মাথিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের। বয়সে অনেকটা প্রবীণ হয়েও ভ্রমণের এ সময়টাতে তিনি হয়ে যান সকলের বন্ধু। কখন কার কি সমস্যাসহ সবদিক তদারকিও করেন তিনি। হাওর ভ্রমণ সফল ও সার্থক হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শিক্ষক দম্পতি নাজমুল ইসলাম ও জেসমিন আরা বেগম। নাজমুল ইসলাম সদর উপজেলার ধলিয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আর তার সহধর্মিনী জেসমিন আরা বেগম একই বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক।

সকলের অভিভাবক হিসেবে ভ্রমণে ছিলেন কড়িয়াইল ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বন্ধুবৎসল আবুল বাশার মৃধা।

ভ্রমণের শেষ সময়ে অনেকেই গানের কলির মতই হাপিত্যেশ করেন “এ পথ যদি শেষ না হয়”। পশ্চিমাকাশে সূর্য ডুবে যাবার আগেই যার যার গন্তব্যে পৌঁছে যান সকলেই।

আপনার মন্তব্য করুন