নিজস্ব প্রতিবেদক: ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের ১০টি ইউনিয়নে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার পাকুন্দিয়া উপজেলার ৯টি ও কুলিয়ারচর উপজেলার ১টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এরমধ্যে পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া, চরফরাদী, এগারসিন্দুর, বুরুদিয়া, পাটুয়াভাঙ্গা, নারান্দী, হোসেন্দী, চণ্ডিপাশা ও সুখিয়া এবং কুলিয়ারচর উপজেলার রামদী ইউনিয়ন।
সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। আর কেন্দ্রের বাইরে ছিল মানুষের শান্তিপূর্ণ অবস্থান। দু-একটি কেন্দ্রে কিছুটা হট্টগোল হলেও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় সহজেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ভোটগ্রহণের শুরুর দিকে নারান্দী ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রের একটি বুথে ইভিএমে ত্রুটি থাকায় কিছু সময়ের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। পরে নতুন মেশিন এনে ভোটগ্রহণ করা হয়। পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের পাটুয়াভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কিছুটা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সাথে সাথেই সেটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক কেন্দ্রে অনেক ভোটারের আঙ্গুলের ছাপে অস্পষ্টতা থাকায় তারা ভোট দিতে পারেননি। বুরুদিয়া ইউনিয়নের মিরদী ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে নরপতি গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী মো. সিদ্দিক হোসেন আঙ্গুলের ছাপে অস্পষ্টতা থাকায় ভোট দিতে পারেননি। পরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি বলেন, এটাই হয়তো তার জীবনের শেষ ভোট। শেষ জীবনে ভোটটি দিতে না পারায় তার আক্ষেপের সীমা নেই।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম জানান, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১০টি ইউনিয়নের সবকটিতেই প্রথমবারের মত ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।