ঢাকামঙ্গলবার , ১ মার্চ ২০২২
  • অন্যান্য
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস ঐতিহ্য
  5. করোনা আপডেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রীড়া জগৎ
  8. জাতীয়
  9. তথ্য প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. নারী অধিকার
  12. প্রবাস সংবাদ
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. সম্পাদকীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পুলিশের টাকায় নিপার বিয়ে

প্রতিবেদক
-
মার্চ ১, ২০২২ ৮:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: রবিদাস সম্প্রদায়ের পিতৃহীন হতদরিদ্র নিপা রাণী দাসের বিয়ে ঠিক হয়েছে। কিন্তু বিয়ের আয়োজন নিয়ে দিশেহারা পরিবারটি। প্রথা অনুযায়ী বিয়েতে বরকে যৌতুক প্রদান, বরযাত্রী ও অতিথিদের খাবারের আয়োজনসহ বিয়ের অনুষ্ঠানের খরচ মেটানোর কোন টাকাই নেই তাদের।

প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে পিতা নরেশ চন্দ্র রবিদাস দুই বছর আগে মারা যান। তার স্ত্রী আরতি রানী দাস (৩৫) রাস্তায় মাটি কাটার কাজ করেন। তাদের তিন মেয়ে ও দুই ছেলে। বড় মেয়ে দীপা রানী দাসের তিন বছর আগে বিয়ে হয়ে গেছে। মেঝো মেয়ে নিপা রানী দাসের বিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার ( মার্চ)। ছোট মেয়ে সীমা রানী দাস ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। বড় ছেলে আনন্দ রবিদাস (১৩) সাড়ে তিন হাজার টাকা বেতনে সেলুনে কাজ করে। ছোট ছেলে সঞ্জয় রবিদাস (৮) দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। সে লেখাপড়ার ফাঁকে জুতা সেলাইয়ের কাজ করে।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের রবিদাস সম্প্রদায়ের এই পরিবারটির মাথা গোজার জন্য ছোট্ট একটি ঘর ছাড়া সহায় সম্বল বলতে আর কিছুই নেই। এ অবস্থায় কুমিল্লায় বিয়ে ঠিক হয় নিপা রাণী দাসের। বিয়ের আয়োজন কিভাবে করবে, বরকে যৌতুক দেওয়া, অতিথি আপ্যায়ন ইত্যাদি খরচ মেটাতে কোন কূল কিনারা পাচ্ছিল না তারা। বোনের বিয়ের জন্য এতিম দুই শিশু আনন্দ ও সঞ্জয় হাত পাতে দুয়ারে দুয়ারে। এতে কিছু সহায়তা মিললেও প্রয়োজনের তুলনায় তা ছিটেফোটা মাত্র। পরিবারের ভরণ পোষণের টাকাই যেখানে মিলানো কষ্টকর, সেখানে বোনের বিয়ের খরচ যোগাতে চারদিকে অন্ধকার দেখছিল তারা।

একটি সংবাদ মাধ্যমে তাদের দুঃখ দুর্দশার খবর পেয়ে পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন কর্মকর্তা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) আজ মঙ্গলবার সাহায্যের এক লাখ ১০হাজার টাকা তুলে দেন অসহায় পরিবারটির হাতে। সাহায্য পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে যান আরতি রাণী দাস। তিনি বলেন, সাক্ষাত ভগবানের দেখা পেয়েছি। এই সাহায্য ছাড়া বিয়ের আয়োজন করা আমাদের কোন সাধ্য ছিল না।

পুলিশ সুপার বলেন, সমাজে এমন পরিবার আরও রয়েছে। ধনাঢ্য ব্যক্তিরা এভাবে এগিয়ে এলে অসহায়দের দুঃখ দুর্দশা অনেকাংশে লাঘব হবে। তিনি জানান, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা এই অসহায় পরিবারের মেয়েটির বিয়ের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন্স) মোহাম্মদ নূরে আলম, ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ান দীপু, কটিয়াদী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহাদত হোসেন, লোহাজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হায়দার মারুয়া, লোহাজুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম, কটিয়াদী আব্দুল হেকিম কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর জোয়ারদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য করুন