নিজস্ব প্রতিবেদক: আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে কিশোরগঞ্জে ৬২৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হবে।
এরমধ্যে ঈদ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দেশের অন্যান্য জেলার সাথে কিশোরগঞ্জের ৪৮৬টি ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাকি ১৪২ টি ঘরের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় কিশোরগঞ্জ জেলায় এখন পর্যন্ত ১ম পর্যায়ে ৬১৬টি ও ২য় পর্যায়ে ৬৩১টিসহ মোট ১ হাজার ২৪৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় ব্যারাক হাউস নির্মাণের মাধ্যমে ইটনা উপজেলার আড়ালিয়া ও মজলিসপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২৭০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। তিনধাপে এ পর্যন্ত জেলায় মোট ২ হাজার ১৪৫টি ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে ৪র্থ ধাপে চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে আরও ৩৯৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলায় ২০২০ সাল থেকে অদ্যাবধি আশ্রয়ণ–২ প্রকল্পের আওতায় একক গৃহ নির্মাণের জন্য প্রায় ৫১.৭৪ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৭৬ কোটি ১২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বলে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের এরই মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশে এক লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি ঘর দেওয়া হয়েছে। এবারের ঘর হস্তান্তর শেষে মোট দেড় লাখ গৃহহীন পরিবার সরকারের উপহারের ঘরের মালিক হবেন। প্রথম পর্যায়ে গত বছরের ২৩ জানুয়ারি ৬০ হাজার ১৯১টি ঘর, ২০ জুন ৫৩ হাজার ৩০০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত মোট ঘরের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি। তৃতীয় পর্যায়ে নির্মাণাধীন একক ঘরের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৬৭৪টি। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর হবে আগামী ২৬ এপ্রিল।