নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৬ জনের পরিচয় মিলেছে। কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় ও জেলা পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে অজ্ঞাত একজনসহ নিহত ১৭ জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করে। নিহতদের মধ্যে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বনাটি গাঙ্গাইলপাড়া গ্রামের একই পরিবারের চারজন রয়েছেন।
তারা হলেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকার (দাদন কমিশনারের বাড়ির পাশে) মো. কাশেমের ছেলে গোলাপ (২৩), মিঠামইন উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে সাইমন মিয়া (২২) ও ভরা গোলহাটি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে রাসেল মিয়া (২৬), করিমগঞ্জ উপজেলার সাকুয়া গ্রামের (নদীর পশ্চিম পাড়) জোনায়েদ হোসেনের স্ত্রী হোসনা খাতুন (২৩), ভৈরব উপজেলার রাণীবাজার এলাকার প্রবোধ চন্দ্র শীলের ছেলে সবুজ চন্দ্র শীল (৫০), আগানগর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আফজাল হোসাইন (২৪), শ্রীনগর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে রাব্বী (৩০), আমলাপাড়া এলাকার (স্থায়ী ঠিকানা নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদ গ্রাম) দর্শন মিয়ার ছেলে নজরুল (৪০), কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর ঘাটিপাড়া গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির (৫৭), বাজিতপুর উপজেলার ডুয়াইগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে আছির উদ্দিন (৩৪), ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বনাটি গাঙ্গাইলপাড়া গ্রামের মহি উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়া (৩৪), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৫) ও তাদের দুই ছেলে যথাক্রমে সজীব (১১) ও ইসমাঈল (৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বরইচারা গ্রামের মৃত সদর আলী সরকারের ছেলে নিজাম উদ্দিন (৬৫), ঢাকার দক্ষিণ খান থানার ৭৮ নর্দ্দাপাড়া এলাকার (ইয়াকুব আলী রোড, বায়তুস সুজুত জামে মসজিদের পাশে) মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে একেএম জালাল উদ্দিন আহম্মেদ (৩৭) ও অজ্ঞাত পুরুষ (৩৩)।
সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতদের তালিকা পেয়েছেন তিনি।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনার পরই নিহত এক শিশুকে তার স্বজনরা নিয়ে যান। অজ্ঞাত একজনের লাশ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। বাকীদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।