নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ১০ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ। মাছটি ধরা পড়ার পরই সেটি দেখতে ভীড় জমায় উৎসুক জনতা। পরে স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ৮১০ টাকা দরে সেটি বিক্রি করা হয় ৮ হাজার ১০০ টাকায়।
শুক্রবার সকালে উপজেলার গুরুই হাওরে জেলে হৃদয় বর্মণের জালে ধরা পড়ে বোয়াল মাছটি।
হৃদয় বর্মন জানান, হাওরে এখন নতুন পানি আসতে শুরু করেছে। নতুন পানির সাথে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরা পড়ছে আমাদের জালে। তাই প্রতিদিনই ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে জাল নিয়ে হাওরে গিয়ে মাছ ধরি। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালেও জাল নিয়ে হাওরে মাছ ধরতে যান তিনি। জালে বড় একটি বোয়াল মাছ আটকা পড়ে। পরে বাড়িতে নিয়ে ওজন মেপে দেখেন ১০ কেজি। মাছটি নিয়ে বাড়িতে পৌঁছার পর সেটি দেখতে ভীড় জমায় স্থানীয়রা। পরে বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া বাজারের গ্রাম বাংলা মৎস্য আড়তে নিয়ে গেলে সেখানেও ভীড় জমায় উৎসুক জনতা। সেখানে মাছটি প্রতি কেজি ৮১০ দরে ১০ কেজি ওজনের এই মাছটি ৮ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়। মাছটি কিনেছেন নিকলীর গুরুই শাহী মসজিদের খতিব ও ইমাম মুফতি মোবারক উল্লাহ খান। তিনি জানান, সকালে বাজারে গিয়েছিলাম মাছ কিনতে। হঠাৎ চোখে পড়লো ১০ কেজি ওজনের এই বোয়াল মাছটি। অনেকেই সেটি কেনার জন্য ভীড় জমিয়েছেন সেখানে। শখের বশেই ৮ হাজার ১০০ টাকায় মাছটি কিনেছেন বলে জানান তিনি।
নিকলী উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন জানান, অতীতে এমন বড় বড় মাছ সচরাচরই পাওয়া যেত। তবে এখন আগের ন্যায় পাওয়া না গেলেও মাঝে মাঝে জেলেদের জালে এসব মাছ ধরা পড়ার খবর পাওয়া যায়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার পাল জানান, হাওরে বর্ষার পানি আসতে শুরু করেছে। নতুন পানিতে প্রায়ই ধরা পড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ। জেলেদের বরশি ও ঝাঁকি জালসহ বিভিন্ন ফাঁদে ধরা পড়ছে এসব মাছ। জেলেরা ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাছ ধরার জন্য হাওরেই সময় কাটান। অনেকে আবার রাতের বেলায় মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে সারা বছরের তুলনায় এ সময়ে বর্ষার নতুন পানিতে বড় বড় মাছ ধরা পড়ে থাকে। এজন্য অনেক জেলে ঝড়, বৃষ্টি আর বজ্রপাতের মধ্যেও জীবনাবাজি রেখে পড়ে থাকেন হাওরে।