নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সকল জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে এক ছাতার নিচে আনতে চাই। সকল প্রকার হয়রানি থেকে রেহাই পেতে হলে সকলকে এক ছাতার নিচে আসতে হবে। জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের আইকন সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে এ ব্যবসার সুদিন ফিরে এসেছে।
আজ সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার এক মত বিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
তারা আরও বলেন, সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে এ দেশের গার্মেন্ট ব্যবসাসহ সকল ব্যবসাকে ছড়িয়ে যাবে জুয়েলারি ব্যবসা। শুধু তাই নয়, আমাদের এ ব্যবসা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে।
কিশোরগঞ্জ জেলা বাজুসের সভাপতি গাজী জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাজুস কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাজুস ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য চন্দন কুমার ঘোষ।
তারা বলেন, জুয়েলারি ব্যবসায়ীদেরকে নিজেদের স্বার্থেই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। যারা এখনও সদস্য হয়নি তাদেরকে বুঝিয়ে সদস্য করতে হবে। আনভীর সাহেব চাচ্ছেন সবাইকে এক ছাতার নিচে আনতে।
তারা আরও বলেন, আমরা সবচেয়ে মূল্যবান ধাতুর ব্যবসা করি। এ ব্যবসা করে আমরা গর্ববোধ করি। বাজুসের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর আমাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে কাজ করতে হবে। দেশে বর্তমানে ৪০ হাজার সদস্য সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। তারা বলেন, এমন এক সময় আসবে, যখন বাজুসের সদস্য ছাড়া গোল্ড ব্যবসা করতে পারবেননা। হয়রানীমুক্তভাবে ব্যবসা করতে হলে সংশ্লিষ্ট সকলকে এর সদস্য হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
বক্তারা বলেন, সায়েম সোবহান আনভীর আমাদের মাঝে পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন। আমরা সেই আলোয় আলোকিত। উনি আমাদের স্বপ্নদ্রষ্টা। উনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা এগিয়ে যাব।
কোন অবস্থাতেই ভোক্তাদেরকে ঠকানো যাবেনা উল্লেখ করে তারা বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে। হলমার্ক অনুযায়ী মান ঠিক রাখতে হবে। সারা দেশে এক রেটে স্বর্ণ বিক্রি করতে হবে। এক রেটের বাইরে বিক্রি করলে ভেবে নিবেন, তার স্বর্ণের মান ঠিক নয়। মানের বিষয়ে কেন্দ্র থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে এবং জেলা কমিটিকেও মনিটরিং করার অনুরোধ করা হয়।
বাজুস কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা কমিটির সদস্য বিজয় চন্দ্র সরকার, উজ্জ্বল রায়, কটিয়াদী উপজেলা প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন, পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রতিনিধি শাহানশাহ প্রমুখ।
সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।