নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জ জেলা মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের ‘অবৈধ ভোটার তালিকায় পাতানো নির্বাচন’ বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করে বলেন, গঠন্তন্ত্রের সকল নিয়ম উপেক্ষা করে নিজেদের মনগড়া তালিকা তৈরি করেছেন একটি পক্ষ। মালিকদের অধীনে কর্মরত প্রকৃত শ্রমিকদেরকে সদস্য এবং ভোটার না করে সদস্য ও ভোটার করা হয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক, মোটর সাইকেলের লাইসেন্সধারী ও পান দোকানদারকে। যা সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।
আজ সোমবার দুপুরে জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এবিএম সিরাজুল ইসলাম। তিনি জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের ১১ বার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সংগঠনের ৩ হাজার ৪০০ ভোটারের মাঝে ১ হাজার ৩০০ জনই অবৈধ বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ২৪(ক) তে নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রণালীতে বিধান অনুযায়ী ৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা উপ–পরিষদ গঠন করার কথা উল্লেখ থাকলেও সেটি করা হয়েছে ৭ সদস্য বিশিষ্ট। এছাড়াও নির্বাচন পরিষদে ১ জন প্রধান ও বাকি ৪ জন সদস্য থাকে। এখানে ছিল ৬ জন। তিনি বলেন, যদি সাধারণ সভা অনুমোদন করে তবে ৭ জনেও কোন সমস্যা ছিল না। তবে সেখানেও সিরিয়াল ও নিয়ম মানা হয়নি। সাধারণ সভায় ৫/৬ জন আলোচনা করে কোন সিদ্ধান্ত, এমনকি কার্যকরী পরিষদও রদ বদল করার ক্ষমতা বা এখতিয়ার রাখেনা। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা উপ–পরিষদের ক্ষেত্রে তাই করা হয়েছে। যা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।
তিনি আরও বলেন, সংগঠনের সভাপতির মৃত্যু হলে সিনিয়র সহ–সভাপতি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এটাই বিধান। কিন্তু এখানে নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের সভাপতির মৃত্যুর পর ১ নং সদস্যকে বাদ দিয়ে ৪ নং সদস্যকে প্রধান করা হয়েছে। তাকে কখন, কিভাবে বা কেন প্রধান করা হল সেটিও আমরা জানতে পারলাম না।
তিনি বলেন, অনুচ্ছেদ ২৪ এর খ তে উল্লেখ আছে শ্রমিক ইউনিয়ন হতে ঋণ গ্রহিতা কোন কর্মকর্তা বা সদস্য ঋণ পরিশোধ না করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কিন্তু কিশোরগঞ্জ জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি, কার্যকরী সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ও চারজন সদস্য প্রত্যেকেই ঋণ গ্রহিতা। বর্তমান কমিটি শ্রমিকদের ৬৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এ টাকা সংগঠনের ব্যাংক হিসাবে জমা দিয়ে নির্বাচন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক দিলাল ইসলাম উজ্জ্বল, দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, সদস্য আলী আকবর, হারিছ মিয়া, আকরামুল ও চঞ্চল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।