নিজস্ব প্রতিবেদক: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় কিশোরগঞ্জ জেলার ৭৪০টি মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে। এতে মাছ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাত কোটি টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৬৮৪ জন মৎস্যখামারী।
মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় মৎস্যখাতে এ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আজ বুধবার বিকালে এ তথ্য জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ রিপন কুমার পাল।
তিনি জানান, এটি ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব। প্রতিদিনই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ জানতে আরও সময় লাগবে।
জানা গেছে, জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে পাকুন্দিয়া ও হোসেনপুর ছাড়া বাকি ১১ টি উপজেলার মৎস্য খামারিদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী, তাড়াইল, বাজিতপুর ও ভৈরবে বন্যার পানিতে মাছের অনেক খামার ভেসে গেছে।
অষ্টগ্রাম সদর উপজেলার চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু জানান, তার ডিএফএসএস বহুমুখী খামার বন্যায় তলিয়ে গেলছে। খামার থেকে প্রায় চার লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। সব মিলিয়ে এ খামারের প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তার দাবি।
ইটনা উপজেলার এনায়েত কবির, তাপশ রায় শামীম হোসেন ও শানু মিয়ার পুকুর তলিয়ে গেছে। এ চারজনের পুকুরে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ চলে গেছে।
মৎস্যখাতে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং সরকারি কোনো সহায়তা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে দেওয়া হবে বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।