মামলায় তার বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, একটি এনজিওর কার্যালয় ভাঙচুর এবং এনজিও কর্মীদের মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয়। এ মামলায় এক নম্বর আসামী করা হয়েছে পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির তিন নম্বর যুগ্ম আহবায়ক মো. ফরিদ উদ্দিনকে। ফরিদ উদ্দিন কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিনের অনুসারী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার পুলেরঘাট বাজারে আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুইগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফরিদ উদ্দিনের হুকুমে সাইফুল ইসলাম ওরফে জাফরুলের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। তারা বসতঘরের ভিতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সাইফুল ইসলাম ওরফে জাফরুল ও সুমন মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায় কতিপয় দুষ্কৃতকারী। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম ওরফে জাফরুল বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ আজ শুক্রবার তিনজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন কালু, শামীম ও জীবন। অন্য আসামিদেরকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনকে কেন্দ্র করে পুলেরঘাট বাজারে আওয়ামী লীগের দুইগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত এবং বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।