কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ঝালমুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এবং রবিবার সন্ধ্যায় কুলিয়ারচর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াগাঁও এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
এ সময় কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
কুলিয়ারচর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নোয়াগাঁও এলাকার মো.অলিউল্লাহ জানান, গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে একটি দোকানে তার ছেলে আলভী ও ভাতিজা জনি ঝালমুড়ি খেতে যায়। এ সময় বর্তমান কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরের ভাতিজা হাবিব, মামাতো ভাই সুজনসহ বেশ কয়েকজন এসে একই দোকানে ঝালমুড়ি খেতে আসে। পরে এসে তারা আগে খেতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে তার ছেলে এবং ভাতিজার ওপর হামলা করে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা গিয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া দেয়। তারা চলে যাবার সময় তার বড় ভাই জালালের দোকানে হামলা এবং ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলেও অভিযোগ করেন অলিউল্লাহ। তিনি আরও অভিযোগ করেন, হুমায়ুন কবিরের লোকজন এলাকায় মাদক ব্যবসা করে। আর আমরা এগুলোর প্রতিবাদ করি। এ নিয়ে আমাদের প্রতি তাদের ক্ষোভ রয়েছে।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর রায়েরচর এলাকার হুমায়ুন কবির জানান, আমার লোকজনের কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। সংঘর্ষ হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে। তিনি বলেন, গতকাল রাতে ঝালমুড়ি ও ফুচকার দোকানদার আল-আমিনের দোকানে বেশ কয়েকটি মেয়ে ফুচকা খেতে আসে।
এ সময় অলিউল্লাহর ছেলে আর ভাতিজা এসে তাদেরকে উত্যক্ত করছিল। দোকানদার এর প্রতিবাদ করলে তারা তাকে মারধর করে। এতে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি আরও জানান, আজ দুপুরে তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমার ভাতিজা হাবিব আর স্থানীয় কয়েকজন রিকশাচালককে মারধর করলে এ নিয়ে আবারও উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো.অলিউল্লাহ ও বর্তমান কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরের লোকজনের মধ্যে ঝালমুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ দুপুরে আবারও তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আবারও পুলিশ গিয়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এখনও কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।