পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় স্ত্রী ও বোনকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটেরা কুপিয়ে জখম করেছে ইমরানুল হক (৩২) নামে এক যুবককে। ঈদুল আজহার পরের দিন সোমবার বিকালে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের নবাগিয়া বিলের কাছে ঘটনাটি ঘটে। বখাটেদের হামলায় ইমরানুল হকের চাচাত ভাই মহসিন ভূইয়া মিন্টুও আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে ইমরানের বাবা আজহারুল হক ভূঞা বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহার পরের দিন সোমবার পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের নয়াপাড়া থেকে কন্দরপদী পর্যন্ত নবাগিয়া বিলের পাশে নতুন রাস্তায় তার ছেলে, মেয়ে, পুত্রবধুসহ পরিবারের লোকজন বেড়াতে যায়। এ সময় স্থানীয় কতিপয় বখাটে যুবক তার মেয়ে ও পুত্রবধূর ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে থাকে। ছবি ও ভিডিও তুলতে বাধা দেয় তার ছেলে ইমরানুল হক। এ নিয়ে বখাটেদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয় ইমরানুল হক ও তার চাচতে ভাই মহসিনের। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বখাটেরা চাপাতি, বৈঠা, লাটি ও চাকু দিয়ে ইমরানের মাথায় আঘাত করে। এ সময় ভাতিজা মহসিন ভূইয়া মিন্টু এগিয়ে গেলে তার ওপরও হামলা করে বখাটেরা।
পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমনে ইমরানুল হক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগে তিনি উপজেলার হোসেন্দী নয়া পাড়া গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে মোস্তাকিম (৪০), কামরুলের ছেলে রিফাত (২০) ও আরাফাত (২৩), দুলাল মিয়ার ছেলে পিয়েল (২০), এংরাজ মিয়ার ছেলে রিজন (১৯), মিজানের ছেলে বিল্লাল (২১), সুরুজ মিয়ার ছেলে নাহিদ (১৯) এ সাত জনের নাম উল্লেখ করেন। এছাড়াও অজ্ঞাত ৮/১০ বখাটেকে অভিযুক্ত করেন।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, দোষীদের বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।