কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে রিটন মিয়া (৪০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় কটিয়াদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ভাই মিষ্টু মিয়া। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারভূক্ত ৮ আসামিকে গ্রেফতার করে আজ মঙ্গলবার বিকালে কিশোরগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করছে কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশ। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় অস্ত্র।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন অপু মিয়া, খোকন মিয়া, মহিউদ্দিন, পাপ্পু মিয়া, দিপু মিয়া, নাঈম মিয়া, নাদিম মিয়া ও রফিকুল ইসলাম। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের ঘিলাকান্দি গ্রামে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রিটন ও তার সঙ্গীরা কটিয়াদী উপজেলার ঘিলাকান্দি গ্রামের বাদল মিয়ার বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। বনগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচলগোটা নামক স্থানে পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রিটনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় রিটন মিয়া গুরুতর আহত হন। এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় সঙ্গীরা আহত রিটনকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সোমবার ভোর ৪ টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত রিটন মিয়া পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীনের ছেলে।
কটিয়াদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মাহফুজ হাসান সিদ্দিকী জানান, নিহতের ভাই মিষ্টু মিয়া বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের নামে সোমবার রাতে কটিয়াদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযান চালিয়ে এ মামলার এজহারভূক্ত ৮ আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সময় ব্যবহৃত রামদা, টেটা, বল্লম, হলঙ্গা উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।