নিউজ একুশে ডেস্ক: চোরাই গরু বিক্রির টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে খুন হন আমির হোসেন। পরে মরদেহ গুম করার উদ্দেশে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার দক্ষিণ সালুয়া গ্রামের একটি কলা বাগানে ফেলে রাখা হয়। গ্রেফতার আসামি শফিক আজ বুধবার বিকালে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর দত্তের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত আমির হোসেন (৫৫) নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার ছলমা গ্রামের মৃত আয়েছ আলীর ছেলে। আর আসামি শফিক (৩৮) কুলিয়ারচর উপজেলার আলীনগর গ্রামের গোলাপ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ সুপার জানান, আমির হোসেন, শফিক, নিজামসহ অপরাপর আসামিরা কুলিয়ারচর ও বেলাব এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতিচক্রের মূল হোতা। তাদের নামে কুলিয়ারচর ও বেলাব থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আমির হোসেনসহ ৪/৫ জন মিলে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় সময় গরু চুরি করে শফিকের বাড়িতে নিয়ে রাখতো। শফিক চোরাই গরু বিক্রির টাকা সকলকে ভাগ বাটোয়ারা করে দিত।
ঘটনার দিন গত বছরের ১১ অক্টোবর রাতে আমির হোসেনসহ অপরাপর আসামীরা একটি গরু চুরি করে শফিকের বাড়িতে নিয়ে যায়। গরুটি দাম ধরে শফিকের কাছে বিক্রি করেন তারা। এ টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে আমির হোসেন, নিজাম উদ্দিন, শফিকসহ অপরাপর আসামীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা আমির হোসেনকে খুন করেন। পরে লাশ গুম করার উদ্দেশে কুলিয়ারচর উপজেলার দক্ষিণ সালুয়া গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের কলাবাগানে ফেলে রেখে চলে যান তারা। পরদিন সকালে খবর পেয়ে নিহতের স্ত্রী কাঞ্চন বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করেন এবং তিনি বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পিবিআইয়ের উপ–পুলিশ পরিদর্শক (নি.) সুমন মিয়া মামলাটি তদন্তের এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সন্দেহজনক আসামি শফিককে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং অপরাপর আসামিদের বিষয়েও তথ্য দেন। পরে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার।