ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: বোনকে উত্যক্তের বিচার চাওয়ায় তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম, ঘরবাড়ি ও ফার্মেসিতে ভাঙচুর চালিয়েছে বখাটেরা। শুক্রবার রাত সাড়ে ৭ টায় কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
বখাটেদের হামলায় আহত হাসান মাহমুদ, ওলিউল্লাহ ও আসাদুল্লাহ তিন ভাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তাদের পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন ডা. আবুবক্কর ছিদ্দিকের পরিবার। তার ছোট মেয়ে ভৈরবের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাসা থেকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্যক্ত করতো একই এলাকার কাজল মিয়ার বখাটে ছেলে শিপন। রাস্তায় উত্যক্তের ঘটনা বাসায় এসে পরিবারকে জানালে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট বিচার চাইলে তারা শালিসের একটি তারিখ নির্ধারণ করেন। শালিসের কথা শুনেই শিপন বখাটের দল নিয়ে শুক্রবার রাতে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে বাসায় হামলা চালায়। এ সময় আবুবক্কর ছিদ্দিকের ছেলেরা বখাটেদের বাঁধা দিলে তারা রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তিন ছেলে হাসান মাহমুদ, ওলি উল্লাহ ও আসাদুল্লাহকে। তাদের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এ সময় বখাটের দল তাদের বাসাবাড়ি ও ফার্মেসি ভাঙচুর করে।
ভোক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা ডা. আবুবক্বর ছিদ্দিক জানান, স্কুলে যাওয়া আসার পথে আমার মেয়েকে পার্শ্ববর্তী বাড়ির কাজল মিয়ার ছেলে শিপন নামের এক বখাটে প্রতিদিনই উত্যক্ত করতো। এ ঘটনা স্থানীয় গণ্যমান্য লোকদের কাছে বিচার চাইলে তারা শালিসের তারিখ নির্ধারণ করেন। এরপরেই শুক্রবার রাতে শিপনসহ বখাটের দল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমার বাসায় হামলা চালায়। এ সময় আমার তিন ছেলে বাঁধা দিলে তাদেরকে রামদা দিয়ে এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফাজানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি।