কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আহত কবির মিয়া (৪২) নামে এক যুবককের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে সংঘর্ষে ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হলো।
নিহত কবির মিয়া কটিয়াদী উপজেলার সহশ্রাম-ধুলদিয়া ইউনিয়নের রায়খলা গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিনের ছেলে। শনিবার (৩০ জুলাই) কবির মিয়ার মরদেহ কটিয়াদী মডেল থানায় নিয়ে যায় তার স্বজনেরা। পুলিশ এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসা এবং ছাড়পত্রের কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা দেখাতে পারেননি।।
কবির মিয়ার স্বজনরা জানান, গত ২২ জুলাই শুক্রবার সংঘর্ষে কবির মিয়া আহত হলে তাকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তিনি বাড়ি চলে যান। পরে গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফের তাকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে পুলিশ তাদের কাছে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ থেকে ছাড়পত্রের কাগজ দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেননি তারা।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার কটিয়াদী উপজেলার সহশ্রাম-ধুলদিয়া ইউনিয়নের ধুলদিয়া বাজারে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে রায়খলা ও সতরদ্রোন গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরদিন ২২ জুলাই (শুক্রবার) মাইকিং করে আবার দুই গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়ালে হুয়ামুন কবীর (৩৪) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হন অন্তত ৩০ জন।
কটিয়াদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মাহফুজ হাসান সিদ্দিকী কবির মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত হুমায়ুন কবীরের ভাই মো. মামুন মিয়া বাদি হয়ে গত ২৪ জুলাই কটিয়াদী মডেল থানায় ২১জনকে জ্ঞাত এবং ৪-৫জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি বলে জানা গেছে।