নিউজ একুশে ডেস্ক: কিশোরগঞ্জে শিশু ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি রাজিবকে (১৯) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আজ রবিবার ভোরে সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের জালালপুর বাজার এলাকা থেকে র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ও র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ সদর ক্যাম্পের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
রাজিব ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার কুটারকান্দা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। আসামি ভিকটিমের দূর সম্পর্কের মামা।
র্যাব সূত্র জানায়, আসামি রাজিব ময়মনসিংহ থেকে চাকরির খোঁজে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যান। সেখানে ভিকটিমের বাড়িতে থেকেই চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন তিনি। ভিকটিমের বাবা ও মা উভয়ই চাকুরিজীবী। চলতি বছরের ১৪ আগস্ট প্রতিদিনের মত নিজ নিজ কর্মস্থলে চলে যান তারা। বাসায় তখন তার দুই ছোট শিশু ও আসামি রাজিব অবস্থান করছিল। ঐদিন বিকাল আনুমানিক ৫ টার দিকে ভিকটিমের মা বাসায় আসলে তার ছয় বছরের শিশু কন্যাকে কান্নারত অবস্থায় পান। কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে ভিকটিম তার মাকে জানায়, আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে রাজিব মামা মজা কিনে দিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে পরনের কাপড় খুলে খারাপ কাজ করে এবং এই কথা কাউকে বলতে নিষেধ করে বাসা থেকে চলে যায়। পরে ভিকটিমের মা তার গোপনাঙ্গ চেক করলে ধর্ষণের আলামত দেখতে পান। ঘটনার পর ভিকটিমের পরিবার নারায়ণগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহে চলে যায়। বাড়িতে যাবার পরই ভিকটিম শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাকে ২১ আগস্ট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৫ আগস্ট হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়। পরে ২৭ আগস্ট ভিকটিমের মা বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এর ৯ (১) ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মো. শাহরিয়ার মাহমুদ খান জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে গ্রেফতার এড়াতে আসামি বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াতে থাকেন। সর্বশেষ কিশোরগঞ্জ জেলায় তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রবিবার ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রাজিব ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলে র্যাব জানায়।
