ঢাকারবিবার , ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস ঐতিহ্য
  5. করোনা আপডেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রীড়া জগৎ
  8. জাতীয়
  9. তথ্য প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. নারী অধিকার
  12. প্রবাস সংবাদ
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. সম্পাদকীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাকুন্দিয়ায় চুরির অপবাদে মারধর, অপমানে রাজমিস্ত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ

প্রতিবেদক
-
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ ৭:২১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুরির অপবাদে মারধর করা হয়েছে রাজমিস্ত্রীকে। তিন লাখ টাকা পরিশোধের শর্তে স্বাক্ষরও নেওয়া হয়েছে স্ট্যাম্পে। এমন অপবাদ সইতে না পেরে নাহিদ (২০) নামে রাজমিস্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাইকলক্ষ্মীয়া গ্রামে।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নাহিদের বড় ভাই দ্বীন ইসলাম বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুইজনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের গান্ধারচর গ্রামের বাবুল মিয়া (৪৫), তার ছেলে নাঈম (২৫) ও একই গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে ইয়াসিনকে (২৫)।

নিহত নাহিদ পাইকলক্ষ্মীয়া গ্রামের মৃত আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রী।

মামলার বাদী দ্বীন ইসলাম জানান, তার ভাই নাহিদ ঠিকাদার বাবুলের অধীনে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে পাকুন্দিয়ার মির্জাপুর এলাকা থেকে ছাদ ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ঠিকাদারের কিছু মালামাল চুরি হয়। এদিন রাতেই বাবুলের আরও দুই কর্মচারী রাজু ও হাসান ঢাকায় চলে যান। এ ঘটনায় বাবুলসহ অন্য আসামিরা ৮ সেপ্টেম্বর সকালে পাকুন্দিয়া বাজারে বাবুলের নিজস্ব গ্যারেজে ডেকে নেন নাহিদ ও আজিমকে। সেখানে তাদেরকে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে তিনি (মামলার বাদী) সেখানে গিয়ে তার ভাইয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধরের চিহ্ন দেখতে পান। এ সময় বাবুল ও পাকুন্দিয়া বাজারের গরুরহাটা এলাকার মেহেদী তাকে বলেন, চুরি যাওয়া মালামাল বাবদ তিন লাখ টাকা পাঁচদিনের মধ্যে পরিশোধের শর্তে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে তার ভাইকে নিতে হবে। ভাইয়ের অবস্থা দেখে শর্ত মেনে এখান থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ভাইকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন তিনি৷

এদিকে চুরির অপবাদ সইতে না পেরে ঐদিন রাত পৌনে ৯ টার দিকে বাড়িতে কীটনাশক জাতীয় বিষ খেয়ে বাড়ির উঠানে কাতরাতে থাকেন নাহিদ। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরগঞ্জ-২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক শুক্রবার তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে যাবার পথে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মৃত্যু হয় নাহিদের।

পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.সারোয়ার জাহান জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে নাহিদের বড় ভাই দ্বীন ইসলাম বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন৷ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

আপনার মন্তব্য করুন