আদালত প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে গৃহবধূক হত্যা মামলায় স্বামীসহ তিনজনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নিহত গৃহবধূর স্বামী খোকন মিয়া (৩৭), তার বোন জরিনা খাতুন (৩৯) ও আত্মীয় জালাল মিয়া (৪৩)। তারা সবাই করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া এলাকার বাসিন্দা।
রায়ে খোকন মিয়াকে ৫০ হাজার, জালাল মিয়াকে ৩০ হাজার ও জরিনা খাতুনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম. এ আফজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৬ বছর পূর্বে করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের খৈলাকুরী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে হেনা আক্তারের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের বন্ধগোমরা গ্রামের ইমান আলীর ছেলে খোকনের। বিয়ের পর থেকেই হেনার ওপর স্বামী খোকনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন। বোনের সুখের কথা চিন্তা করে তাকে একটি দুচালা টিনের ঘর তৈরী করে দেন ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও বোন জামাই খোকনকে ব্যবসার জন্য ৪০ হাজার টাকা দেন। কিছুদিন পর আবারও যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন তারা। এ সময় হেনা অস্বীকৃতি জানালে ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর রাতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তারা। ঘটনার পরদিন রাতে হেনার ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।