নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাটাই হওয়া ১৫২ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী করোনার এই দুঃসময়ে ছাটাই না করে তাদেরকে স্বপদে বহাল রাখার আকুতি জানিয়ে বলেছেন, আমাদেরকে পথে নামিয়ে দেবেননা।
করোনার কঠিন সময়ে হাসপাতালে তারা করোনা রোগীদের সেবা দিয়েছেন। অথচ কোন এক অদৃশ্য ইশারায় বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন। রবিবার তারা কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সংক্রান্ত স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট এ হাসপাতালে আউটডোর চালু করা হয়। আর ইনডোর চালু করা হয় ২০২০ সালের ১৭ মার্চ। ৪২ জন কর্মচারী আউটডোর চালুর আগে থেকেই বিনা বেতনে কাজে নিয়োজিত ছিলেন। পরে নামেমাত্র বেতনে তারা কাজ করার সযোগ পান।২০২০ সনের ১৭ মার্চ ইনডোর চালুর পর থেকে কয়েক দফায় অস্থায়ীভাবে ২১৬ জনকে বিভিন্ন পদে কাজ দেওয়া হয়। অথচ অনুমোদন ছিল মাত্র ১০৩ জনের। এ অবস্থায় তাদেরকে আউটসোর্সিং স্কেলে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও ১০৩ জনের বেতন ২১৬ জনকে ভাগ করে দেওয়া হত। ২০২০ সালে এ হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা শুরু হলে চিকিৎসক ও নার্সদের পাশাপাশি তারাও করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন। করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে তাদের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি তাদের পরিবারের কোন কোন সদস্যও আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় কারও কারও পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুও হয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ করে ১৫২ জন করোনাযোদ্ধাকে কোন কারণ ছাড়াই সাত মাসের বেতন বকেয়া রেখে বাদ দেওয়া হয়। অন্যদিকে নতুন করে ৯১ জনকে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাদেরকে স্বপদে বহাল এবং চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানিয়ে বলেন, করোনার এই কঠিন সময়ে তারা চাকরিহারা হলে পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা।
স্মারকলিপি দেওয়ার আগে তারা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে জমায়েত হন। এর আগে তারা অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন।