রাকিবুল হাসান রোকেল: দরিদ্র কৃষকের সন্তান আশরাফ উদ্দিন শিপন। মা-বাবা, দুই ভাই ও এক বোনসহ পরিবারে সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। বাবার রোজগারের টাকায় কোনোমতে চলে যায় তাদের। বাড়ি থেকে কলেজের দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। প্রতিদিন পায়ে হেঁটে অনেক কষ্ট করে কলেজে যাওয়া-আসা করতে হয় তাকে। কলেজে যাতায়াতের জন্য একটি বাইসাইকেলের স্বপ্ন দেখতেন শিপন। কিন্তু অভাব অনটনের সংসারে সাইকেল কেনার কথা বাবাকে বলতে সাহস পাননি কখনও। জেলা পরিষদ দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিয়ে থাকে-এ তথ্যটি জানার পর একটি বাই সাইকেল চেয়ে আবেদন করেন শিপন। আবেদনে মিলেও যায় সেটি। জেলা পরিষদ শিপনের আবেদনে সাড়া দিয়ে তার পাশে দাঁড়ায়। উপহার হিসেবে একটি বাইসাইকেল দেওয়া হয় তাকে। বাই সাইকেল পেয়ে খুশি শিপন।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরটেকি গ্রামের কৃষক শাহাবুদ্দিনের ছেলে আশরাফ উদ্দিন শিপন। জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন হাই স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তিনি।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আশরাফ উদ্দিন শিপনের হাতে বাইসাইকেলটি তুলে দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, কলেজ শিক্ষার্থী আশরাফ উদ্দিন শিপনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পরিষদ ১৫ হাজার ৭০০ টাকায় একটি বাইসাইকেল ক্রয় করে তার হাতে তুলে দেয়।
কলেজ শিক্ষার্থী আশরাফ উদ্দিন শিপন জানান, প্রতিদিন প্রায় দুই কিলোমিটার পথ হেঁটে কলেজে যেতে হতো। এতদিন অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তাকে। প্রায়ই নির্দিষ্ট সময়ে কলেজে পৌঁছানো সম্ভব হতোনা। বাই সাইকেল পেয়ে অনেক সুবিধা হয়েছে তার। এখন সাইকেল চালিয়ে সময়মতো কলেজে যাওয়া যাবে। জেলা পরিষদে আবেদন করেই বিনামূল্যে সাইকেল পাওয়া যাবে, তা ভাবতেই পারেননি তিনি। জেলা পরিষদের এই সহযোগিতা আরও অনুপ্রাণিত করবে বলে জানান শিপন।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, জেলা পরিষদ বিভিন্ন সময়ই সহায়তা নিয়ে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ায়।
আজ কলেজ শিক্ষার্থী শিপনকে একটি বাইসাইকেল দেয়া হয়েছে। এতে করে কিছুটা হলেও শিপনের কষ্ট লাঘব হবে।