নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নেতাকর্মীদেরকে যে কোন আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ডু অর ডাই।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে সিলেট অভিমুখে রোডমার্চ শুরুর আগে ভৈরবের দুর্জয় মোড়ের পাশে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এ সরকার কত মায়ের বুক খালি করেছে, কত টাকা বিদেশে পাচার করেছে, সবকিছুর হিসাব দিতে হবে। শেখ হাসিনাকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের সেবক। জনগণের মুখোমুখি দাঁড়াবেননা।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এ সরকারকে বিদায় নিতেই হবে। আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন, সজাগ থাকবেন। জয় আমাদের হবেই।
সমাবেশে দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এ সরকার বিচার বিভাগসহ সবকিছু দলীয়করণ করেছে। প্রধান বিচারপতিকে ফুল দিয়ে বরণ করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে অবৈধভাবে। তাকে বন্দী করে রাখার প্রতিটা সময়ের হিসাব দিতে হবে।
তিনি বলেন, দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম। প্রতিটি এলাকার ভোটচোরদের তালিকা করা হবে। অবৈধ সংসদ বাতিল করতে হবে। অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। যত দিন যাচ্ছে, মানুষের যন্ত্রণা তত বাড়ছে। দেশের ১৮ কোটি মানুষ এ সরকারকে চায়না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হয়নি, ভাষা আন্দোলনে পরাজিত হয়নি, এই সংগ্রামেও পরাজিত হবে না।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ. জেড. এম জাহিদ হাসান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এডভোকেট ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব–উন–নবী খান সোহেল, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, ওয়ারেস আলী মামুন, নির্বাহী কমিটির সদস্য লায়লা বেগম, শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে রোডমার্চ শুরু করেছে বিএনপি। এতে বিএনপিসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে অংশ নেন।