নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসনে রবিবার পাঁচজন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের একজন, স্বতন্ত্র একজন ও জাকের পার্টির তিনজন। বর্তমানে ছয়টি আসনে মোট প্রার্থী রয়েছেন ৩৯ জন।
যারা প্রত্যাহার করেছেন তারা হলেন কিশোরগঞ্জ–১ (কিশোরগঞ্জ সদর–হোসেনপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু ও জাকের পার্টির নাছির উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ–৩ (করিমগঞ্জ–তাড়াইল) আসনে আওয়ামী লীগের নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ, কিশোরগঞ্জ–৫ (বাজিতপুর–নিকলী) আসনে জাকের পার্টির এ. কে. এম নাজমুল হক ও কিশোরগঞ্জ–৬ (ভৈরব–কুলিয়ারচর) আসনে জাকের পার্টির আব্দুল হাকিম।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
প্রত্যাহারের পর এখন জেলার ছয়টি আসনে মোট প্রার্থী রয়েছেন ৩৯জন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের ৫জন, জাতীয় পার্টির ৫জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ২জন, ইসলামী ঐক্যজোটের ২জন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ৩জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ৫জন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট–বিএনএফ এর ১জন, গণফ্রন্টের ১জন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ১জন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ৩জন, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি–বিএসপির ১জন, তৃণমূল বিএনপির ১জন ও স্বতন্ত্র ৯জন।
কিশোরগঞ্জ–১ (কিশোরগঞ্জ সদর–হোসেনপুর): ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি (আওয়ামী লীগ), মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), মোবারক হোসেন (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো. আবদুল হাই (জাতীয় পার্টি), মো. আশরাফ উদ্দিন (ইসলামী ঐক্যজোট), মো. আব্দুল আউয়াল (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট) ও মো. আনোয়ারুল কিবরিয়া (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি–এনপিপি)।
কিশোরগঞ্জ–২ (কটিয়াদী–পাকুন্দিয়া): আবদুল কাহার আকন্দ (আওয়ামী লীগ), এডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন (স্বতন্ত্র), মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন (স্বতন্ত্র), আলেয়া (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি–এনপিপি), মীর আবু তৈয়ব মো. রেজাউল করিম (গণফ্রন্ট) ও মো. বিল্লাল হোসেন (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট–বিএনএফ)।
কিশোরগঞ্জ–৩ (করিমগঞ্জ–তাড়াইল): এডভোকেট মো. মুজিবুল হক চুন্নু (জাতীয় পার্টি), ব্যারিস্টার মো. গোলাম কবির ভূঞা (স্বতন্ত্র), ওমর ফারুক (ইসলামী ঐক্যজোট), মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি–এনপিপি), মেজর (অব.) মো. নাসিমুল হক (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ মাহফুজুল হক হায়দার (স্বতন্ত্র) ও রুবেল মিয়া (স্বতন্ত্র)।
কিশোরগঞ্জ–৪ (ইটনা–মিঠামইন–অষ্টগ্রাম): রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক (আওয়ামী লীগ), আ. মজিদ (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো. শরীফুল আহসান (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), মো. জয়নাল আবদিন (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি–এনপিপি), মোহাম্মদ আবু ওয়াহাব (জাতীয় পার্টি), ও মো. নছিম খাঁন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট)।
কিশোরগঞ্জ–৫ (বাজিতপুর–নিকলী : মো. আফজাল হোসেন (আওয়ামী লীগ), মো. ইমদাদুল হক (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মো. সোহরাব হোসেন (তৃণমূল বিএনপি), মো. মাহবুবুল আলম (জাতীয় পার্টি), সুব্রত পাল (স্বতন্ত্র) ও মো. রবিন মিঞা (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট)।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর): নাজমুল হাসান পাপন (আওয়ামী লীগ), মোহাম্মদ আব্দুছ ছাত্তার (স্বতন্ত্র), হেলাল উদ্দিন (বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি-বিএসপি), মো. রুবেল হোসেন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), নূরুল কাদের সোহেল (জাতীয় পার্টি), তারেক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি) ও মোহাম্মদ আয়ুব হোসেন (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট)।